সন্ধ্যে নামে কোকিলের অভিযোগে
গাছেদের গায়ে লিখে রাখা কিছু কথা
লাল পোস্তর দানা হয়ে অনুরাগে
শস্যের ফুলে লুকিয়ে রাখে সে মাথা
পাহাড়ে আজ বিজলির ঝলকানি
ফিসফিস করে আকাশের কানে কানে
বাদাম গাছের পাতাগুলো বলে জানি
পচন ধরেছে ঝিঁঝিঁদের রাত গানে
মরচে পড়া সিঁড়ির আলোড়ন-এ
মর্মরধ্বনি পোশাকের কালো কায়ায়
মোমবাতি জ্বলে নীরব অন্ধকারে
অন্ধকারে রুপোলি হাতের ছায়ায়
বাতাসহীন, নিশ্ছিদ্র রাত্রি...
~গেয়র্গ ট্রাকল
গেয়র্গ ট্রাকল ফরাসি কবি নন, কোলমার অথবা আলসেসের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনও সম্পর্কও নেই। হ্যাঁ, জার্মান এক্সপ্রেশনিস্ট কবিতার জগতে তিনি বিশ্ববিখ্যাত, তার একটি প্রধান কারণ হল মাত্র সাতাশ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু। র্যাঁবো, শেলি, লাফর্গের মতনই গেয়র্গ ট্রাকল জার্মানির এক্সপ্রেশনিস্ট কবিতা আন্দোলনের নায়ক হয়ে রয়েছেন আজও। হয়তো এই বালক অথবা তরুণ কবির দল একটা বিশেষ কাজের জন্যেই পৃথিবীতে এসেছিল, সেটা হয়ে যেতেই বিদায় জানিয়েছে মায়ার জগৎকে।
স্ট্রাসবুর্গ থেকে কোলমার যাওয়ার সময়ে ইন্টারনেট ঘেঁটে জানতে পারলাম আলসেসের জার্মান এক্সপ্রেশনিস্ট কবি আর্নস্ট স্ট্যডলরকে নিয়ে একটা প্রদর্শনী হচ্ছে, সেখানে অন্যান্য এক্সপ্রেশানিস্ট কবিদের পান্ডুলিপি ও কবিতা পড়ার অনুষ্ঠান ও হবে। আলসেস লরেন জার্মানির অংশ থাকাকালীনও এই অঞ্চলে জার্মান সাহিত্যের চর্চা বড় কম হয়নি, খোদ আর্নস্ট স্ট্যডলরও জন্মেছিলেন কোলমারেই।
প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে কত প্রতিভাবান তরুণ শিল্পী ও সাহিত্যিককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তার কোনও হিসেব নেই। অসংখ্য ইহুদি কবি আর শিল্পী মুক্তির স্বপ্ন দেখতে দেখতে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। দুই পক্ষের বহু তরুণ যুদ্ধে মারা গেছেন। আর্নস্ট স্ট্যডলরও তাদের একজন। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে জার্মান কবিতায় এক নতুন ধারার সূচনা করে যখন হইচই ফেলে দিয়েছেন সাহিত্য সমাজে, ঠিক সেই সময়ে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ । যুদ্ধে গেলেন স্ট্যডলরও, আর ফিরলেন না।
সেই সূত্রেই গেয়র্গ ট্রাকলের কথা মনে পড়ে গেল। তিনিও যুদ্ধে গেছিলেন, কিন্তু যুদ্ধের সৈনিক হয়ে নয়, 'মেডিক' অর্থাৎ চিকিৎসক হয়ে। ছোটবেলা থেকেই প্রচন্ড সংবেদনশীল ছিলেন ট্রাকল। যুদ্ধের বিভীষিকা তাঁকে মানসিক ভাবে আক্রান্ত করল। গ্রোডেকের যুদ্ধে রাশিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে সামনাসামনি লড়াইয়ে সূর্যাস্তের সময় যুদ্ধক্ষেত্রের রক্তাক্ত প্রান্তর দেখে ট্রাকল উন্মাদ হয়ে যান। তাঁর অধীনে থাকা নব্বই জন আহত সৈনিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, কারো চোখ উড়ে গেছে, কারো দুটো পা কাটা, অনেক অল্পবয়সী তরুণ পরবর্তী কয়েক মুহুর্তের মধ্যে মারা যাবে। তাদের চিকিৎসা করার কোনও উপায়ই তাঁর কাছে নেই। এই অবস্থায় ট্রাকল মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। নিজেকে গুলি করে আত্যহত্যা করতে গেলে অন্য সৈনিকরা তাঁকে জোর করে আটকে ক্রাকোর 'মিলিটারী হসপিটাল'-এ নিয়ে যায়। কিছুদিন পরেই জানা যায় মনোরোগে আক্রান্ত হয়ে অত্যধিক মাত্রায় কোকেন নেওয়ার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধেই মারা যান ইংল্যান্ডের প্রতিভাবান তরুণ কবি উইলফ্রেড ওয়েন। জার্মান শিল্পী আগস্ট ম্যাক, অস্ট্রিয়ান শিল্পী ইগন শিল। গিয়ম অপোলেনিয়ার যুদ্ধে আহত হয়ে প্রাণত্যাগ করেন। আইস্যাক রোসেনবার্গ সারা জীবন যুদ্ধের বিপক্ষে কবিতা লিখে এবং এঁকে গেছেন, কিন্তু তাঁকেও সেই যুদ্ধেই প্রাণ হারাতে হয়। আরো কত শিল্পী...
স্ট্রাসবুর্গ থেকে ট্রেনে করে কোলমার যেতে মাত্র আধ ঘন্টা সময় লাগে। ইউরোপে ট্রেনের সফরের মত আরামদায়ক আর কিছুই নেই। অথচ চোদ্দ আনা জায়গাই ফাঁকা। ট্রেনের টিকিটের চেয়ে বাসের টিকিট সস্তা, অনেকে আবার নিজস্ব গাড়ি করেই চলাফেরা করতে পছন্দ করে। এই সব কারণেই হয়তো ট্রেনে খুব কম যাত্রীই যায়। হাই স্পিড ট্রেন, সবুজ চাষের জমি ও আঙ্গুরের ভিনইয়ার্ড দেখতে দেখতেই কোলমার স্টেশন চলে এল।
কোলমার ছোট্ট জায়গা। ঝকঝকে তকতকে রাস্তাঘাট, সবুজ সতেজ ঘাসের উদ্যান, টিম্বার ফ্রেমিং করা ঐতিহাসিক বাড়িঘর, কড়িবরগা লাগানো কাঠের গির্জা। পাথুরে গলির দু ধারের রেস্তোরাঁ আর পাবে আলসেস অঞ্চলের সুস্বাদু খাবার আর এখানাকার বিখ্যাত মিষ্টি ওয়াইন পাওয়া যায়। এছাড়াও পাওয়া যায় 'কুগেলহফ' নামের স্থানীয় পেস্ট্রি, একবার খেলে নাকি সারা জীবন এর স্বাদ ভোলা যায় না। কোলমারের রান্না খানিকটা জার্মান অভিরুচির, এখানকার বহু মানুষও জার্মান ভাষায় কথা বলতেই পছন্দ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কোলমার ফ্রান্সের অধীনে এলেও এখানকার অনেক অধিবাসীরা জার্মান ভক্ত ছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখানকার বাড়ির ছাদে নাজি পতাকা দেখা যেত।
আমরা যথারীতি মেঘমুক্ত আকাশে পিঠে রোদকাঠি ছুঁইয়ে হেঁটে চলেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বড় রাস্তা ছেড়ে ওল্ড টাউনের অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ গলিতে ঢুকে পড়লাম। আমাদের পথেই 'মেসন ফিস্তা ( Maison Pfister) বলে একটা মধ্যযুগীয় কাঠের বাড়ি পড়ল, এখন সেখানে একটা ওয়াইনের দোকান হয়েছে। কাঠের বাড়ি, রেনেশাঁ শৈলীর ছাপ স্পষ্ট। মেসন ফিস্তার তিনদিকে তিনটে গলি চলে গেছে। অধিকাংশ বাড়িই তিনতলা, চারতলা। বাঁশের গাঢ় খয়েরি রঙের ফ্রেম দিয়ে তৈরি বাড়ি, ঠিক যেরকম আমরা স্ট্রাসবুর্গের পেতিত ফ্রান্স অঞ্চলে দেখেছি। বাড়ির দেওয়ালেই অনেক জায়গায় শৌখিন ল্যাম্পপোস্ট বসানো আছে, সেই ল্যাম্পের বাহার দেখলে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। রাস্তায় জমাটি দোকানের সামনে স্ট্যান্ডে স্ট্যান্ডে বিক্রি হচ্ছে ছবির পোস্টকার্ড, বই, হাতে আঁকা ছবি। বাঁ দিকের গলি ধরে খানিকটা এগোতেই বার্থলদি মিউজিয়াম। ফরাসি ভাস্করশিল্পী আগস্টে বার্থলদির জন্মস্থানেই তার ভাস্কর্য্যগুলো সাজিয়ে এই মিউজিয়ামটি গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানে ছোট ছোট শহরেও অগুনতি ছোট বড় জাদুঘর থাকে, ছোট বড় শিল্পীদের বাড়িগুলো সযত্নে রেখে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত এই জাদুঘরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ হয়।
আমরা যে পথ দিয়ে চলেছি, তার নাম হুই দে মাআহাসঁ অর্থাৎ মার্চেন্ট স্ট্রিট। সামনেই খিলান ঘেরা একটা বর্গাকার আচ্ছাদিত জায়গা আছে, যেখানে এককালে সওদাগররা এসে জমায়েত হত ব্যাবসার অভিসন্ধি নিয়ে। আজকাল এই আচ্ছাদন বাস্কিং শিল্পী আর স্ট্রিট পারফর্মারদের আস্তানা হয়ে উঠেছে। প্রতি বিকেলেই এখানে গান, নাচ, ম্যাজিক, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের অনুষ্ঠান হয়।
কাউচসার্ফিং অ্যাপে মার্সেলা বলে একজন মেয়ে পিঙ করেছিল, তার সঙ্গে দেখা হল আন্ডারলিন্ডেন মিউজিয়ামের কাছে এসে। লন্ডনের মেয়ে, বোঁচকা কাঁধে এখানে এসেছে বাসেল থেকে, এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করে আজ রাতেই তার বাড়ি চলে যাবে। তার বান্ধবী আসা পর্যন্ত তাকে সঙ্গ দিলাম, খানিক গল্পও হল।
আন্ডারলিন্ডেন মিউজিয়ামে আলসিয়ান শিল্পী গ্রুয়েনেওয়াল্ডের রেনেসাঁ যুগের শিল্পকর্ম আছে, এছাড়াও রেনোয়া, পিকাসো প্রভৃতি শিল্পীদের ছবি তো আছেই। আমাদের হাতে বেশি সময় নেই, টিকিট কেটে ভিতরে যাওয়ার আগ্রহও নেই। ইতিমধ্যে বেড়াতে বেড়াতে ডোমিনিকান গির্জা চোখে পড়েছে, সেখানেও খুব বেশিক্ষণ থাকা হয়নি। টুরিস্টদের কোলমারে আসার প্রধান কারণ হল এখানকার ওল্ড টাউনের এককোণে অবস্থিত পাড়া 'পেটিট ভেনিস' অর্থাৎ ভেনিসের ক্ষুদ্র সংস্করণ। রাইন নদীর জলধারা নানান শাখায় বিভক্ত হয়ে ঠিক স্ট্রাসবুর্গের মতন এখানেও একটা মায়াজাল সৃষ্টি করেছে, তার নেশায় সারা দুনিয়া থেকে পর্যটকেরা ছুটে ছুটে আসে। এককালে জেলেদের বসতি থাকা এই অঞ্চল আজ সারা পৃথিবীর ইনস্টাগ্রাম ক্যাপিটল। আমাদের আলাদা করে সে সাধ ছিল না ঠিকই, কিন্তু কাছাকাছি একটা ছিমছাম গ্রাম দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কোনও মানেই হয় না।
বেড়াতে বেড়াতে রোদ চড়ে মাথার ওপর। রাস্তার ধরে বিলাসী হাওয়ায় ঝরখে ঝরখে পড়ছে রঙিন ফুল, মনে হয় রাস্তায় আবির ছড়িয়ে দিয়েছে কেউ। গ্রীষ্মকাল নামেই, বসন্তের ছোঁয়া আগাপাশতলায়। পথচারীদের হাসির ঝলকে ওয়াইনের মাদকতা, ম্যাকরুন হাতে সুন্দরী যুবতীর হেসে ঢলে পড়া, আইসক্রিমের ঠান্ডা ক্রিম মুখে লেগে থাকা শৈশব। বিশাল বিশাল টবে মাথা উঁচু করে থাকা এদেশীয় গাছ যেন কফির ধোঁয়ার গন্ধ নিচ্ছে। আহা! এরকম একটা গন্ধ হয়তো শেষ বসন্তে বেনারসের গলিপথে পাওয়া যায়। ম্যাকারুনের জায়গায় কালো জিরে দেওয়া সুজির বিস্কুট, ওয়াইনের জায়গায় গাঁজার কলকে আর ভাঙের শরবত। শীতকালে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে ঝালনুন দিয়ে খাবার সময় যে অনুভূতি হত, সে কথা মনে পড়ে যায় হুট করে। বা দুম করে মনে পড়ে অচেনা স্টেশনে নেমে সিঙ্গাড়া-চা খাওয়ার কথা। কেন? কে জানে? মাঝে মাঝে ধাঁধা লেগে যায়। কোথায় ইউরোপ, কোথায় হিরণগাঁওয়ের সেই অজানা স্টেশন? আমেজও বিলকুল ভিন্ন। কিন্তু মনের তার জুড়ে যায় একই কম্পাঙ্কে।
এখন ছোটবেলার কথা মনে করে যেভাবে চোখের কোণে আলগা ভিজে হাসি খেলে যায়, বুড়ো হয়ে এই দিনগুলোর কথা মনে পড়লেও হয়তো তাই হবে। সেই ভেবেই লিখে রাখা। কলম চলে মনের হিসেবে। যেদিন যেমন ভাব জাগে, সেদিন তেমন লেখা আসে। মসৃণতার লেশমাত্র নেই, কন্সিসটেন্সি তো নেইই। তাও লিখি। ভ্রমণ সাহিত্যের বিচার হলে গোল্লা পাবে জেনেও পিছপা হইনি। সাহিত্য না হোক, গাইডবুকই সই। নাহলে রোজনামচার বয়ান। সেই বা মন্দ কী?
মোড় ঘুরতেই পরিচিত সেই ছবি সামনে এসে দাঁড়াল। জলের ধারে পথ, রঙিন টিম্বার ফ্রেমের বাড়ি, বাদামি সেতু আর ফুলের তোড়া। জলের ধারে ফুলের প্ল্যাটফর্ম। পায়ে-পায়ে নদীও চলেছে পথের সঙ্গে সঙ্গে। গুঁড়ি-গুঁড়ি ফুল সবুজ জলে পড়ে ভাসছে। লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, কমলা, গোলাপি। সেতুর হাত কয়েক নীচ দিয়েই একটা একটা করে নৌকো যাচ্ছে মাঝে মাঝে, তাতেও ফুলের বাসন্তী রঙ সন্ধি করেছে মৌমাছিদের সঙ্গে। রঙ আর ফুল! ফুল আর রঙ! বাস্তবে যে কোনও জায়গা এতটা রঙিন হতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস হয় না। অবশ্য দেখলেও বিশ্বাস হয় না! দেখেনি কি আগে এসব? কত বার ইন্টারনেটে চোখ আটকে গেছে এই রঙের মস্করায়, কতবার পয়সার হিসেব করেছি আসব বলে। সত্যিই যে কোনোদিন আসব সেই বিশ্বাস অবশ্য কোনদিনই ছিল না! কয়েকটা স্বপ্ন স্বপ্ন থাকাই ভালো, বাস্তবে তাদের সমক্ষে গিয়ে দাঁড়ালে মায়া মনে হয়।
ডোরাকাটা বাড়িগুলোএকটাও ফিকে রঙের নয়। রঙহীন জীবনের অস্তিত্বই নেই এই রাজ্যে। সাবানগোলা জলে স্নান সেরে রঙিন কাপড় পরে দাঁড়িয়ে পড়েছে নদীর ধার ঘেঁসে। কোঁকড়া সোনালি চুলে বিলি কেটে দিয়েছে চকলেট রঙের রোদ। জাফরানি আবেশে মূর্ত সে দুপুর। অলীক। রঙবদলের ম্যাজিকটা যে ঠিক কোথায়, শত চেষ্টাতেও বুঝতে পারি না। একটা একটা করে বাড়ির সামনে থমকে দাঁড়াই তাও। এক একটা একেকরকম। কোনোটা রানি রঙের উদ্দাম জীবন. কোনটা আসমানি রঙের পুরোনো প্রেমিকা। কোনোটা আবার হয়তো সঞ্চারি রাগে মজে থাকা মুড সুইং।
কয়েক ঘন্টা কোথায় যে উধাও হয়ে গেল সে স্বপ্নবেলায়। মনে পড়ে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে গিয়েছিলাম 'নদী-পথ-সেতু-রিপিট' ধরে। বাকিটা ধোঁয়াশা। কোথাও আবছায়া, কোথাও উজ্জ্বল রোদে ঝলসে যাওয়া চোখ। টালির ওপরে সবুজের কাটাকুটি। ইতালি রেস্তোরাঁর চীজ পাস্তা। হয়তো হলদে পাখির পালক। হয়তো মফস্বলী মনকেমন। হয়তো বৈরাগী রাস্তার মোড়ে বার বার থমকে দাঁড়িয়ে পড়া।
একসময় বিকেল হয়েছিল। পড়ে এসেছিল রোদ। ফুলের ওপর ফিকে হয়ে থাকা আলোয় প্রজাপতির দল তখনও খেলা করছে। নরম হাওয়া গায়ে লাগিয়ে নৌকোর মাঝিরা নৌকো বাইছে। তখনও জেগে হাঁসের দল। হাতছানি দিয়ে ডাকছে রাত্রি, পরীদের শহরে নেমে আসছে তারাগুঁড়ো অন্ধকার।
এক মুঠো কবিতা নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।
The Signature Shot |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন