সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

'হুডানইট' গোয়েন্দার আগমন - কলকাতা নুয়া


গোয়েন্দা গল্প পড়তে বসা আর ক্যাসিনোতে গিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করার মধ্যে বেশি তফাৎ নেই। ভাগ্য প্রসন্ন হলে পকেট ভারী হতে পারে অথবা চিত্ত চঞ্চল হয়ে দিনটা রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতে পারে, আবার ঝুঁকিও কম নয়। বেগতিক দেখলে মাঝখান থেকে সটকে পড়া চলে না, কারণ এই দুই বস্তুর নেশা করা ব্যক্তি মানেই জানে, সেই অবকাশ অথবা মানসিক পরিস্থিতি আমাদের থাকে না।

কলকাতা নুয়ার আপাদমস্তক গোয়েন্দা কাহিনী, ডিটেকটিভ ফিকশনের ক্লাসিক নিয়ম মেনে রচিত স্মার্ট রিড। ইতিমধ্যেই এই বইটা পাঠক প্রিয় হয়ে উঠেছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যে বাংলায় এমন ঝানু গোয়েন্দার আবির্ভাব ঘটেনি, সেই নিয়েও কোন সংশয় নেই।

বইয়ের তিনটে গল্পে একটা হল ' কালাপানির দিশা'। ভাগ্যক্রমে এই গল্পটা আগেই কালি ও কলম ওয়েব ম্যাগাজিনে পড়ে ফেলেছিলাম এবং দারুণ উত্তেজিত হয়ে ' মচৎকার ' বলে চেঁচিয়ে উঠেছিলাম। তার অবশ্য যথাযথ কারণ ছিল। এত ভাল বাংলা গোয়েন্দা গল্প আমি আদপেই পড়েছি কী না সন্দেহ আছে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই বাংলা বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে নিখাদ গোয়েন্দা গল্প পড়ে। ব্যোমকেশ আর ফেলুদা যেমন গিলেছি, হালের গোয়েন্দাদের রান্নাও চেখে দেখেছি। বলতে সঙ্কোচ হলেও কয়েক বছর ধরে রান্নার স্বাদে আমার মন মোটেও ভরছে না। প্রযুক্তি সম্পর্কে আপডেটেড হলেও গোয়েন্দা গল্পের চার্ম মিসিং, ফলে দু তিনটে জায়গায় একটু ঝিলিক মারলেও পুরোটা পড়ে তেমন মেজাজ আসে না। তাতে একটা লাভ হয়েছে যে, খাদ্যের সন্ধানে অন্যান্য ভাষার সাহিত্যে একটু উঁকিঝুঁকি মেরে দেখেছি। জানিয়ে রাখি, বেনারসি লস্যি বলে ঘোলের শরবত খাওয়ানোর জালসাজি সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে, ফলে ভাগ্যে না থাকলে ভাল জিনিস বাজারে থাকলেও পাতে পড়বেই, তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

এই যে আমি কাজের কথায় না এসে উল্টোপাল্টা বকে চলেছি ক্রমাগত, এই অভ্যেস থাকলে গোয়েন্দা গল্প লেখার চেষ্টা না করাই ভাল। ডিটেকটিভ ফিকশনের প্রধান শর্ত হল, ব্যাপারটা আগাগোড়া ক্রিস্প হতে হবে ( এখানে বলে রাখি, থ্রিলার আর ডিটেকটিভ ফিকশন আমি পৃথক ভাবেই দেখছি)। মিস মারপল থেকে ফেলুদা, প্রত্যেকেই মনে হয় শর্তাবলীর এই পয়েন্টটা পদে পদে মেনে চলেছেন ফলে ফাঁক ফোকর থাকলেও গল্প উতরে যেতে অসুবিধে হয়নি।

এইবার আরেকটা অসুবিধে আছে, আর সেটাই প্রধান। একবিংশ শতাব্দীতে এসে পাঠকদের বড্ড বাড় বেড়েছে, সেইজন্যে অর্ধেক প্লটের বিষয়বস্তু দেখেই তাদের হাই ওঠে। অথচ জম্পেশ একটা প্লট না থাকলে লেখার কোন মানেই হয় না ( লেখার গুণে সাধারণ প্লট অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে, সেটা বুঝিয়ে লাভ নেই। উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ি থেকে গয়না চুরি হওয়ার ঘটনার মধ্যে যত অসাধারণ উপাদান থাক না কেন, প্লট শুনলেই পাঠক হাই তুলতে পারে। ও জিনিস পড়ে পড়ে আমরা ক্লান্ত) সেই দিক থেকে দেখতে গেলে লেখক শুভেচ্ছার পাত্র, কারণ বইয়ের তিনটে নভেলাই চেনা পথে হাঁটেনি। অভিনব প্লট থাকলেও সেই অভিনবত্ব কে ধরে রাখার মুনশিয়ানাও সকলের থাকে না, এক্ষেত্রে লেখকের সেটা ভরপুর আছে।

বইটার তিনটে গল্প হল -

১. কালাপানির দিশা
২. পাইস হোটেলে হত্যা
৩. চড়ুই হত্যা রহস্য

হ্যাঁ, নামগুলো কৌতূহল উদ্রেককারী ঠিকই। কিন্তু গল্পের প্লট সম্পর্কে আমি কিছুই লিখতে চাই না। ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রথম গল্পটা শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়েছে। অন্য দুটো লেখাও যথেষ্ট ভাল, তবে দু এক জায়গায় হোঁচট খেয়েছি। সেটা এমন কিছু নয়।

গল্পের নায়ক কানাইচরণ লালবাজারের অভিজ্ঞ গোয়েন্দা, তাই কলকাতা পুলিশের প্রসিডেরাল সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট চিত্র আঁকা প্রয়োজন ছিল। পুলিশ প্রসিডেরাল মানেই যে শুধু ফরেনসিক আর প্রযুক্তির লাফালাফি আর ঢিংচ্যাক একশন থাকবে, সেটা একেবারেই ভুল। খুব সম্ভবত প্রথম কেউ মন দিয়ে পুলিশের রোজকার কাজকর্ম আর ডিপার্টমেন্টাল ক্রাইসিস নিয়ে লিখল, সেই জন্যে রাজর্ষি কে একশ ব্রাউনি পয়েন্ট একস্ট্রা দিলাম।

আমার যেটা ভয়ের জায়গা ছিল, সেটাও লিখেই ফেলি। লিটারারি ফিকশনের লেখকদের ভাষা আর স্টাইল একেবারেই ভিন্ন, কোন কোন ক্ষেত্রে গোয়েন্দা গল্প লিখতে এসে তাঁরা প্রায় সাইকো সোশ্যাল ড্রামা লিখে ফেলেন। চরিত্রদের ব্যাক স্টোরি আর সামাজিক জীবনের কচকচি নিয়ে এমন ভ্যানতারা করেন, তাতে আসল রহস্য চলে যায় নেপথ্যে ( এই নিয়ে অবশ্য মতবিরোধ আছে, মার্কিন ক্রিটিক ভ্যান ডাইন লিখেছিলেন,  "“a detective novel should contain no long descriptive passages, no literary dallying with side-issues, no subtly worked out character analyses”. আবার উইলকি কলিন্স এর গোয়েন্দা উপন্যাস দ্যা মুন স্টোন পড়ে ইলিয়ট সেই দীর্ঘ চরিত্র চিত্রণ আর লিটারারি স্টাইলের হেবি তারিফ করেন)। গোয়েন্দা  সাহিত্যে এই মারাত্মক ভাইরাস ঢুকলেই কাম খতম, পুরো চানাচুর চটকে চপ্পল হয়ে যায়। এই ভয়ে আমি হুটহাট করে সিরিয়াস লেখকদের লেখা গোয়েন্দা গল্প কিনতে পাঁচ বার ভাবি। রাজর্ষি কয়েকদিন আগেই ' পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর' লিখেছেন, ফলে ভয় না থাকলেও কিন্তু কিন্তু ভাব একটা ছিলই। ভাগ্য ভাল, লেখকের দুটো সত্তা কোথাও মিশে যায়নি, ফলে গোয়েন্দা গল্পের সাবলীল ভাষা ও গতিতে এক মিনিটের জন্যও ছেদ পড়েনি।

সংক্ষেপে জানাই, বইয়ের প্রতিটা গল্পই তুখোড়। টানটান রহস্যে ভরপুর ধারাবাহিক তদন্তের মাঝে মাঝে ফরেনসিক, ইনফরমার এবং প্রোফাইলরদের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুরধার সংলাপ আর কমিক রিলিফ ও আছে, আর আছে পুরোপুরি কলকাতা মেজাজে। ফলে পাঠকের হেদিয়ে পড়ার কোন চান্স নেই।

কিন্তু, একটা কথা বলে রাখা ভাল, রহস্যের সমাধান করতে গেলে খুব একটা সুবিধে হবে বলে মনে হয় না। গোল্ডেন যুগের ডিটেকটিভ ফিকশন বইয়ে 'fair play' বলে একটা অলিখিত নিয়ম চালু হয়েছিল, যাতে মনযোগী পাঠক গোয়েন্দার পাশাপশি নিজেও রহস্য সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে। ফেয়ার প্লে না থাকলে বহু উপন্যাসকে খেলো বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, এরকম ঘটনাও আছে। গোয়েন্দা লেখকদের উদ্দ্যেশ্যে বলা থাকত, “the character and motives of the criminal should be normal.”

নরমাল যে এখানে আসলে অবভিয়াস, তাতে সন্দেহ নেই। শার্লক হোমস আসার পর এই ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত হয়,  অপরাধীর মোটিভ অথবা উদ্দেশ্যে যে খুব আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক হবে, সেটা জরুরি নয়। এখানেও সেই একই কথা বলব, এ বড় সরল রৈখিক তদন্ত নয়। মোটিভ বুঝে উঠতে গেলে হেঁচকি উঠতে পারে, সেই চেষ্টা না করাই ভাল।

এই জায়গা থেকেই গল্পের কয়েকটা জায়গা আমাকে একটু চিমটি কেটেছে। (দ্বিতীয় গল্পে মোটিভ এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। আবার তৃতীয় গল্পের একটা প্রসঙ্গ, যেখানে একজন প্রথম অপরাধীকে চিহ্নিত করছে, সেখানেও একটু সন্দেহ উঁকি দিয়েছে)।

এছাড়া কলকাতা নুয়া অসাধারণ, অনবদ্য এবং অনন্য। গোয়েন্দা গল্পের পাঠক হলে অবিলম্বে পকেটস্থ করুন।

রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০

'মগ- মোগল- পর্তুগিজ- ব্রিটিশ- ওলন্দাজ- বাঙালি' : এক ঐতিহাসিক ভুরাজনৈতিক উপন্যাস


আন্দালুসিয়ার শহরে একটা বইয়ের দোকানে ঢুকে কয়েকটা বই নজরে পড়েছিল। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্তুগিজদের ভারতবর্ষে আসা নিয়ে লেখা, বিশেষত বাংলা ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের নানা দেশ আর রাজ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করার কাহিনী। মুর রাজাদের জাহাজ ব্যবহার করে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা ভারতে পাড়ি দিয়েছিল, এদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তী সময়ে কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল জলদস্যু হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই বইগুলো ছিল স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষায় লেখা।

যাই হোক, বাংলার এই ইতিহাস নিয়ে স্পেনের দোকানে সারি সারি বই দেখে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। সেই যুগের ইতিহাস ও পর্তুগিজ শাসকদের বাংলা ঔপনিবেশবাদ গড়ে তোলা নিয়ে বাংলায় খুব কম লেখাই চোখে পড়েছে। সমসাময়িক কালে এই প্রথম একটা পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস এসে সেই জায়গাটা ভরাট করল।

‘পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর’ এক নিশ্বাসে পড়ে ওঠার জন্যে লেখা হয়নি। মগ, পর্তুগিজ, আরাকান, মোগলরা যখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই সময়টাকে পুঙ্খানুুঙ্খভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন রাজর্ষি। বিভিন্ন চরিত্র ও বহুস্তরীয় দৃষ্টিকোণ ফুটে উঠেছে কাহিনীর আঁকেবাঁকে। নন লিনিয়ার ন্যারেটিভকে দক্ষ ভাবে ব্যবহার করেছেন লেখক, ফলে বিভিন্ন কাহিনীর মাঝে বুনে তোলা সূত্র জুড়ে গেছে একে অপরের সঙ্গে, সময়ের ফাটলগুলো ভরাট হয়ে গেছে সাবলীলভাবে।

লেখাটা পড়তে আমার বেশ সময় লেগেছে, তার প্রধান কারণ এর ব্যাপ্তি ও ডিটেইটিং। এই আখ্যানের ভাঁজে ভাঁজে সূক্ষ্ম কারুকাজ আছে, নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটা পরিসর, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের সামাজিক জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি। বস্তুত এই বিন্দুগুলো এই লেখার স্ট্রং পয়েন্ট, আগ্রহ থাকলে এই জায়গাগুলো দ্রুত পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মন দিয়ে পড়লে বোঝা যায়, তথ্যের খুঁটিনাটি ও সত্যতা সম্পর্কে লেখক কতটা যত্নবান! রাজর্ষি কোথাও ভাষাকে অযথা জটিল করেননি, কিন্তু বিষয়বস্তুর স্পষ্টতা আর পরিবেশ তৈরি করার ক্ষমতা নিয়ে কোন কথা হবে না।

'পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর' কে ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা যেতেই পারে, আবার সামাজিক অথবা প্রেমের উপন্যাস বললেও ভুল হবে না। এই বহুকৌণিক কাহিনীতে যেমন টিবাও, ভিশকু আর কাবালহোর মতন পর্তুগিজ দস্যু আছে, সেরকমই আছে নগেনের মত ভাগ্যান্বেষী বাঙালি, ধনী পরিবারের ছেলে শ্যামল, আধা ফিরিঙ্গি ওফেলিয়া। এমনকি জলার পেত্নী কর্পূর্মঞ্জরীও আছে। (এরকম বাস্তবভিত্তিক লিটারারি উপন্যাসে পেত্নী দেখে সত্যিই ভড়কে গিয়েছিলাম, ব্যাপারটা মেটাফর কি না বোঝার চেষ্টা করছি, ইতিমধ্যে আবিষ্কার করলাম এই অলৌকিক আখ্যান সহজ ভাবে জুড়ে গেছে মূল কাহিনীর সঙ্গে, কোথাও খাপছাড়া মনে হয়নি। সুতরাং সেই চিন্তায় অব্যাহতি দিলাম )

যাই হোক, আমার মতে, পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক উপন্যাস। আরো ভাল করে বলতে গেলে ভূরাজনৈতিক উপন্যাস। সপ্তদশ শতাব্দীতে জিও পলিটিকাল ফিকশন লেখা হত না নিশ্চয়ই, সে অর্থে এই কাহিনী বিরল। ক্ষমতা লাভ ও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের পাশাপাশি রাজনৈতিক সম্পর্ক, যুদ্ধের পরিকল্পনা, স্ট্র্যাটেজিক ওয়ারফেয়ার, কূটনীতি, ধর্মবিশ্বাস ও প্রতিশোধ... সব মিশে গেছে এই কাহিনীতে। এখানে বলে রাখা ভাল, বইয়ের শেষের দিকে সামুদ্রিক ঝড় এবং নৌযুদ্ধের একটা সিকোয়েন্স আছে, এমন রুদ্ধশ্বাস এবং ডিটেইলড বর্ননা আমি কোনদিন পড়িনি মনে হয়। রান্নাবান্না হোক অথবা ভাষা, নৌবিদ্যা হোক অথবা আলাপচারিতার ভাষা - কোথাও কোন খুঁত নজরে পড়ল না।

শেষে বলি, চারিত্রিক বিশ্লেষণ না করলেও বোঝা যায়, এই গল্পে প্রতিটা চরিত্রের একটা যাত্রা আছে। এই যাত্রা একান্তভাবে ব্যক্তিগত, কিন্তু কাহিনীর মূলস্রোতের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে ঠিকই। জীবন প্রতিটা চরিত্রকে বদলেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, ফলে তারা প্রায় রক্তমাংসের চরিত্রের মতোই জীবন্ত বলে মনে হয়েছে। সাদা হাতি পেগু অথবা পেত্নী করপূর্মঞ্জরী ও ব্যতিক্রম নয়। এই ক্যারেকটার আর্ক এই উপন্যাসকে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে।

প্রায় তিনশ পাতার এই উপন্যাস আদতে আবহমান ইতিহাসের একটা জানলা ( ওয়ার্মহোল বলাটা কি বাড়াবাড়ি?)  যেখান থেকে খুব সহজেই চলে যাওয়া যায় চারশ বছর আগের একটা সময়ে। সচক্ষে দেখে আসা যায় সন্দ্বীপ, সেগ্রাম, রোসাঙ্গা অথবা চাটিগাঁকে। মগ মোগল পর্তুগিজ ব্রিটিশ ওলন্দাজ বাঙালিদের জীবন অনুভব করতে বিন্দুমাত্র অসুবিধে হয় না।

পাঠকদের কাছে কাম্য, বইটাকে সময় দেবেন। এই বই আপনার মনোযোগ দাবি করে। আমার বিশ্বাস, পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর আপনাদের হতাশ করবে না।

পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর
রাজর্ষি দাস ভৌমিক
সৃষ্টিসুখ