মেয়েটার নাম রুথ লি। ছোটবেলা থেকেই সে জানে তাকে দত্তক নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সে নিয়ে আক্ষেপ করার মতো কিছুই ছিল না। তিন ভাই বাবা মায়ের সান্নিধ্য ও স্নেহে দ্দিব্যি শৈশব কেটেছে, কৈশোর ও যৌবনও অতিক্রম হয়েছে আনন্দে। বিবাহোত্তর জীবনও প্রায় সুখেরই বলা চলে। ছেলেমেয়েগুলো তো এক একটা রত্ন। একজন আর্মিতে কর্নেল, একজন নাসাতে বিজ্ঞানী কাম অ্যাস্ট্রনট... পাঁচ ছেলেমেয়েই যাকে বলে মা বলতে অজ্ঞান! একজন মানুষের জীবনে আর কী চাই? স্বভাবতই এসবের মধ্যে নিজের আসল বাবা বা মায়ের খোঁজ নেওয়ার ইচ্ছে বা প্রয়োজন বোধ করেনি রুথ।
গোলমাল বাধল সত্তর পেরোনোর পর। একের পর এক অসুখ, একটা যায় তো অন্যটা জাঁকিয়ে বসে। রীতিমতো প্রাণ নিয়ে টানাটানি। হাসপাতাল আর বাড়ি করতে গিয়ে বৃদ্ধাবস্থায় রুথের নাজেহাল অবস্থা। টেস্টের পর টেস্ট করিয়েও যখন কিছু ফলাফল পাওয়া গেল না, তখন সাদাকোট পরা মুখপোড়া ডাক্টাররা জানালেন, জিনগত সমস্যা হতে পারে। ঠিক করে বুঝতে হলে বাবা মায়ের মেডিকাল রেকর্ড লাগবে। আসল বাবা মায়ের। রুথের মোটে ইচ্ছে নেই। অ্যাডোপশন আইনের কাগজপত্র দত্তক ছেলেমেয়েদের দেখানোর নিয়ম নেই। মেডিকাল প্রয়োজনে আর্জি জানালে দেখানো যেতে পারে বটে, কিন্তু অতশত ঝামেলা করে লাভটা কী? সাতাত্তর বছর বয়স তো হয়েই গেছে। কিন্তু পাঁচ ছেলেমেয়ে একেবারে চেপে ধরল মাকে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও বাধ্য হয় রুথকে মেডিকাল গ্রাউন্ডে পেটিশন ফাইল করতে হল সরকারি অফিসে, যাতে তার অ্যাডোপশনের পেপার পাঠানো হয়। প্রত্যাশা ছিল না, ইচ্ছেও নয়! এলে আসবে! না এলে রুথের বয়ে গেছে! ভারী তো পাঁচপাতার ডকুমেন্ট।
এল ঠিকই, কিন্তু যেটা এল, সেটা পাঁচ পাতার ডকুমেন্ট নয়। দুই পাউণ্ডের বিশাল বড় একটা পার্সেলে দুশোটারও বেশি ফাইল...কেস নম্বর ৩৫৯ এর অজস্র দস্তাবেজ, আইনি নথি, ফোটোগ্রাফ আর ছবি এসে হাজির হল রুথের কাছে। আর তার সঙ্গে এল অজস্র চিঠি। চিঠি, যা বছরের পর বছর ধরে এসে জমছে হাউস অফ মার্সির দপ্তরের আর্কাইভে। সব চিঠিই অবশ্য একজনের লেখা। ভদ্রমহিলার নাম মিনকা ডিসব্রাও। রুথের আসল মা। সে সব চিঠি পড়ে অভাবনীয় ঘটনার কথা জানা গেল, ইতিহাসে সেরকম ঘটনা প্রায় নজিরবিহীন। আবহমান অপেক্ষার এক অকথিত কাহিনি, যা হয়তো আরেকটু হলে অজানাই থেকে যেত আমাদের কাছে।
সে এক যুগ আগের কথা। ডাচ ইমিগ্র্যান্টরা এসে সাউথ ডাকোটার নানান জায়গায় ডেয়ারি ফার্ম খুলেছে। তবে নতুন দেশের রীতিনীতি আপন করে নিতে পারেনি তারা। ফলে তাদের ছেলেমেয়েরা একটু আড়ালেই থাকে। বেশি কারো সঙ্গে মেশে না, যথাসম্ভব ঝুঠঝামেলা এড়িয়ে চলে। এমন একটা পরিবারেই জন্মেছিল মিনকা। স্কুলের পড়াশোনা বেশিদূর এগোয়নি, ফার্মের কাজে সাহায্য করবে বলে মেয়েকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছিল স্কুল থেকে। সারাদিন ওই ফার্মেই কাটে তার, ব্যতিক্রম দুপুরের সময়টুকু। সে সময় সইদের নিয়ে বনের ভিতর ঘুরে বেড়ায় মিনকা। ষোল বছর বয়সে অনেক অবাস্তব স্বপ্ন থাকে, নাগালে না থাকলেও সে সব স্বপ্ন সহজে পিছু ছাড়ে না। হয়তো বা হাতছানি দিয়ে ডাকে সবসময়। মিনকারও ছিল। দুপুরের ওইটুকু সময়ে সেই সব অসম্ভব স্বপ্নের কথাই পরস্পরকে জানাত মিনকারা। একঘেয়ে জীবনের মাঝে প্রাণ খুলে বেঁচে নিত কয়েক ঘণ্টা। তা সেদিনও একই উদ্দেশ্য নিয়ে এক বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। কেউই জানত না, বাড়ি ফেরার পর তাদের নামের পাশে 'রেপ ভিক্টিম' কথাটা জ্বলজ্বল করতে থাকবে।
আততায়ীর পরিচয় অজানা, শুধু তার কাউবয় টুপি আর বার বার নিজেকে 'ম্যাক' বলে সম্বোধন করাটাই মনে ছিল মিনকার। তাই মিনকা নিজেও কিছু বলেনি কাউকে। বলবেই বা কী? এমনিতেও তার কথা শোনার ইচ্ছা বা সময় কারোরই নেই। তবে মাসকয়েক যেতে না যেতেই সেই নিয়ম ভাঙল, বাড়ির সকলেরই নজর পড়ল মিনকার দিকে। পড়াই স্বাভাবিক। একজন অবিবাহিতা কিশোরী প্রেগন্যান্ট হলে বাড়ির লোক দূর, পাড়াপড়শি থেকে দুধওয়ালা মাছওয়ালাও নজর দেয়। যাই হোক, মা চেপে ধরতে সব কথাই বলতে হল মিনকাকে। কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গেছে। অ্যাবর্শন করানো যাবে না।আর কিছু ভাবতে না পেরে মিনকার মা লুথেরান চার্চের শরনাপন্ন হলেন। যদি কোনো দয়ালু এই অজন্মা শিশুর দায়িত্ব নিতে রাজি হয়! প্রায় একশো বছর আগের কথা, সেকালে গির্জার প্রভাব প্রতিপত্তি কম ছিল না। গির্জার 'হাউস অফ মার্সি' সংগঠনের মাধ্যমে একজন সদাশয় ধর্মযাজক ভদ্রলোককে খুঁজে পাওয়া গেল, যিনি মিনকার বাচ্চাকে দত্তক নিতে প্রস্তুত। সতেরো বছরের মেয়েকে কথাটা জানিয়ে দেওয়া হল। মিনকা আজীবন চোখকান বুজে বাড়ির লোকের কথা মেনে এসেছে, এবারও তার অন্যথা হল না।
১৯২৯ সালের মে মাসে কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় মিনকা। আইনি খাতায় মেয়ের নাম দিয়েছিল বেটি জেন৷ কিন্তু এ মেয়ের সঙ্গে যে মাতৃত্ত্বের কোনো সম্পর্ক থাকবে না সে কথা সে নিজেও জানত। এই সন্তানের প্রতি মিনকার কোনোরকম ইমোশন নেই, থাকার কথাও নয়। গোটা ডেলিভারির সময় মিনকার চোখের সামনে একটা রাক্ষুসে কাউবয় হ্যাটের ছবি ঘুরঘুর করতে লাগল।
কিন্তু প্রথম যখন নবজাত কন্যাকে মিনকার হাতে তুলে দেওয়া হল, সে অবাক হয়ে গেল। মেয়ে কোথায়, এ তো গোলাপি রঙের একটা পুতুল! মোমের মতন ফিনফিনে চামড়া, গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট, চুলগুলো যেন রূপোলি তুলো... মিনকার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল। সোনালি কাঁথায় জড়ানো জলজ্যান্ত চোখদুটো যেন তাঁকে ভেতর থেকে ধুইয়ে দিচ্ছে, সেই অবাক চোখের দৃষ্টি তার সমস্ত কষ্ট আর দুঃখ ভুলিয়ে দিচ্ছে। অদ্ভুত এক বাঁধন অনুভব করছে মিনকা। কী এই বাঁধন? মা হওয়া? কিন্তু তার মা মাসির তো গন্ডা গন্ডা ছেলেমেয়ে আছে, তাদের তো এমন মনে হয় না! তবে কি প্রেম? প্রেমে পড়লে কি এমন হয়? সহসা মিনকার মনে হল, এই সব ঘটে যাওয়ার আগে যে সমস্ত অসম্ভব স্বপ্ন সে দেখত, সেই স্বপ্নগুলোই এই মেয়ের রূপ ধরে হাজির হয়েছে তার কাছে। বেটি আসলে তার মেয়ে নয়, তার মেয়ে আসলে মিনকা নিজে। এই মেয়েকে নিয়েই সে জীবন কাটিয়ে দেবে! আর তার কিচ্ছু চাই না।
কিন্তু তার পরমুহূর্তেই বাস্তব এসে ধাক্কা দিল মিনকার মনে! সে তো বেটিকে কাছে রাখতে পারবে না। তার মেয়েকে নিয়ে যাবে অপরিচিত এক দম্পতি। না না! আঁতকে উঠল মিনকা। সে কিছুতেই বেটিকে কাছছাড়া করবেই না। দরকার পড়লে পালিয়ে যাবে এই জায়গা থেকে। কিন্তু পালিয়েও বা কী করবে সে? একা মেয়ে, সিংগাল মাদার, পড়াশোনা দূর, ভালো করে কথা বলতেও সে পারে না, সে বেটিকে ভালো রাখবে কী করে? যারা বেটিকে দত্তক নেবে বলে ঠিক করেছে, তারা লোক ভালো। পরিচয় না জানলেও মিনকাকে বলা হয়েছে, তাদের কাছে টাকাপয়সাও কম নেই। বেটি ভালো থাকবে। তার কাছে থাকলে কী হবে? সেই তো ফার্মেই বড় হবে, পড়াশোনা করবে না, পরের হুকুম মুখ বুজে শুনতে হবে ছোটবেলা থেকেই... মিনকার জীবন আবার চক্রাকারে অভিনীত হবে বেটির জীবনে। আসলে তো বেটি আর মিনকা একই। হয়তো বেটি ভালো থাকলেই মিনকা ভালো থাকবে।
গোটা একমাস ধরে এই সংশয়ে ভুগতে থাকল মিনকা। শেষমেশ কিছুই সিদ্ধান্ত নিতে পারল না। এক মাস পর নতুন মা ও বাবার হাতে নিজের মেয়েকে তুলে দেওয়ার সময় মিনকার মনে হল, কাউবয় হ্যাটটা তাকে কামড়ে গিলে নিল না কেন? এর চেয়ে মরাই কি ভালো ছিল না? জীবনে সে নিজের বলতে কিছুই পায়নি। সব কিছুই অন্যের ব্যবহৃত পণ্য। ওই মেয়ে ছাড়া তার নিজের কিছুই নেই, কিছু হবেও না...সে মেয়েও দূরে চলে গেল? মিনকা নিজেই তাকে দূরে সরিয়ে দিল।
দিন কাটে। বেটি নতুন ঘরে গিয়ে রুথ হয়ে গেছে। কিন্তু মিনকা সে কথা জানে না, তার কথা সে ভুলতেও পারে না। সে হাউস অফ মার্সি কে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখে যায়। তারা কি তাকে বেটির খবরাখবর দেবে? কেমন আছে তার সোনার টুকরো মেয়ে? নতুন বাবা মা তাকে কী বলে ডাকে? নতুন বাড়িতে যাওয়ার সময় কি তাকে নতুন জামা কিনে দেওয়া হয়েছিল? নতুন মা কি চোখে কাজল লাগিয়ে দেয় বেটিকে? হাউস অফ মার্সি উত্তর দেয় না, দেওয়ার নিয়মও নেই। কিন্তু মিনকা চিঠি লিখে যায় নিজের মতো! প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে এই চিঠি এসে জড় হতে থাকে হাউস অফ মার্সিতে। বছরের পর বছর ধরে।
"তোমরা আমার বেটির কোনো খবর পেলে?"
"বেটি কি স্কুলে ভর্তি হয়েছে?"
"মেয়েকে আমার দেখতে কেমন জানো?
"তিন মাস পর বেটি ছয় বছরে পড়বে। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার বাবা মারা গিয়েছেন, বেটি আর দাদুকে দেখতে পাবে না।"
"বেটি কি পড়াশোনায় ভালো? আমার মেয়ে নিশ্চয়ই কলেজে যাবে? জানাবেন প্লিজ!"
বলাবাহুল্য, একটা লেখারও উত্তর আসেনি। মিনকা চিঠির পাশাপাশি আরো অনেক কিছু পাঠিয়েছে, তার ও তার পরিবারের ছবি, পোস্টকার্ড, জিনিসপত্র... সে সব বেশিরভাগ হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু চিঠি লেখা অবিরত থেকেছে। তখন, যখন সে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে; তখনও, যখন অবশেষে তার বিয়ে হয়েছে। তখনও, যখন বিয়ের পর তার মেয়ে হয়েছে।
"আমার মেয়ে হয়েছে জানেন! বড় বড় নীল চোখ, চুলও সুন্দর। কিছুটা বেটির মতোই। কিন্তু সত্যি বলতে কী জানেন, বেটি আমার সোনা দিয়ে তৈরি। তার মতো সুন্দর কেউ হয় না।"
প্রায় দু দশক পর ১৯৪৭ সালে মিনকা আবার লিখেছে...
"দয়া করে বেটির খবর পেলে জানাবেন। আমি।অপেক্ষায় আছি। আমি অপেক্ষা করব। অপেক্ষা করব!"
এই তার শেষ চিঠি। এর পর হাউস অফ মার্সিতে আর চিঠি আসেনি, কিন্তু মিনকা অপেক্ষা করে গেছে। পাশাপাশি অন্যান্য জায়গা থেকে মেয়ের অ্যাডোপ্টাশন পেপার পাওয়ার বহুবার চেষ্টা করেছে সে, কিন্তু জানতে পারেনি কিছুই। তার মেয়ে বেটি যে আজ রুথ লি, সেইটুকুও কেউ জানিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি তাকে। প্রতি বছর বেটির জন্মদিনের দিন তার কাছে থাকা মেয়ের জন্মানোর একমাত্র ফোটোগ্রাফ নিয়ে বসে থাকে সে, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে মেয়ের মঙ্গলের জন্য।
এই ঘটনার বহু বছর পর যখন সাতাত্তর বছর বয়সী বেটি ওরফে রুথ লি যখন উইস্কনসিনে কেস ফাইল সহ চিঠিগুলো পড়তে শুরু করল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। স্তম্ভিত হয়ে রুথ দেখল, তার আসল মা প্রায় অনন্তকাল ধরে তার অপেক্ষা করে আছে। কিন্তু সেটা হবে কী করে? হিসেব মতো তার যদি ৭৭ হয়, মিনকার বয়স তো নব্বই পার করে গেছে! সে কি আর বেঁচে আছে? তাও একটা ক্ষীণ আশা নিয়ে ব্যাপারটা ছেলেমেয়েদের জানাল রুথ। তারপর ইয়েলো পেজ নিয়ে মিনকা ডাসব্রাউয়ের নাম খুঁজতে বসল।
Minka Disbrow. Birthdate: November 10, 1911. Age: 94 years
এই নামটা পাওয়ার পর অবশ্য রুথের সাহস হয়নি ফোনটা করার। অ্যাস্ট্রনট ছেলেকে ফোনটা দিয়ে দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করে রইল সে। ফোন বাজল। অপর প্রান্তে এক বৃদ্ধা ফোন তুললেন। রুথ লির কথা শুনে ফোন রেখে দিচ্ছিলেন, কিন্তু ছেলে তাঁকে ফোন না কাটার অনুরোধ করে কথা চালিয়ে গেলেন। রুথ অবশ্য কিছুই শুনতে পাচ্ছিল না। সে স্থাণুবৎ বসেছিল ছেলের সামনে। এমন সময় ছেলে তার দিকে রিসিভার বাড়িয়ে দিয়ে বলল, "কথা বলো মা!"
"কে?"
"তোমার মা! আসল মা! সারাজীবন ধরে উনি তার মেয়ের জন্য অপেক্ষা করে আছেন। বেটি জেন...মানে তোমার জন্য অপেক্ষা করে আছেন। "
রুথ কাঁপাকাঁপা হাতে ফোন তুলে বললেন, "আমি... আমি তোমার বেটি জেন!"
কী কথা হয়েছিল তা আর কারোরই মনে নেই। কিন্তু এই ফোন কলের দু মাস পর মা মেয়ের দেখা হয়েছিল। একজন সাতাত্তর, অন্যজন চুরানব্বই। মিনকা রুথের সাদাচুলে হাত বুলিয়ে পরম বিস্ময়ে বলেছিলেন, "আমার মেয়েটা বুড়ি হয়ে গেল কী করে?
এরপর কী হয়েছিল সে সব বলা অবান্তর। শুধু এইটুকুই বলি, এই অসামান্য ঘটনা নিয়ে ক্যাথি লার্গো 'দ্য ওয়েটিং' বলে একটা বই লিখেছেন, ইচ্ছে হলে সেটা পড়ে নিতে পারেন। আর কিছু না হোক, এইটুকু বিশ্বাস জন্মাবে, যে 'মিরাকল' বলে জিনিসটা দুনিয়ায় আজও ঘটে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন