রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

মোনিকা


গত কয়েকমাসে বেশ কিছু নতুন আর জনপ্রিয় গ্রাফিক নভেল পড়া হয়েছে আর কোথাও না কোথাও আমি ভাবতে বাধ্য হচ্ছি যে মেনস্ট্রিম গ্রাফিক নভেলের দুনিয়াটা ক্রমে আরো লিটারারি হয়ে উঠছে, তুলনায় পপুলার উপন্যাসগুলো (পুরস্কার পাওয়া বইগুলো বাদে) বিষয়বস্তুকে আরো ডাম্ব ডাউন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ব্যতিক্রম আছে, আর এই ভাবনাটা সাময়িক হলেও হতে পারে। তবে আপাতত এমনটাই মনে হচ্ছে। এই ঘেপচু কথা মাথায় আসার প্রধান কারণ-- মোনিকা।


ড্যানিয়েল ক্লাউস আজ থেকে গ্রাফিক নভেল করছেন না। এই দুনিয়ায় তিনি অসম্ভব জনপ্রিয় আর 'মোনিকা' ফ্যান্টাগ্রাফিকস থেকে রিলিজ হওয়ার আগেই প্রিবুকে প্রচুর কপি উঠে গিয়েছিল। এদিকে বই মার্কেটে আসার পর যা রিভিউ এল, তাতে বাচ্চা প্রকাশক হলে ঘাবড়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। না, মন্দ বলেনি, কিন্তু সকলেরই মত, এই জিনিস পাঠক খাবে না। তবে গ্রাফিক নভেল হিসেবে ক্লাউস যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন এই বইয়ে, তার জবাব নেই। কিন্তু না, বই বিক্রি কমেনি, বরং হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে। মোনিকার গল্প একলাইনে বলা যায়। মোনিকার একটা ট্রাবাল্ড ছোটবেলা আছে, আর তার বাবার ঠিক নেই। বউ জুড়ে সে বাবাকে খুঁজছে। কিন্তু তাতে কিছুই বোঝা যাবে না। বইয়ের পাঁচটা সেকশনের মধ্যে কোনটা সত্যি ঘটছে, কোনটা মোনিকা লিখছে, কোনটা ভাবছে আর কেন ভাবছে/লিখছে... সে নিয়ে ইন্টারনেট আর পাঠকের দুনিয়ায় হাজার হাজার পাতার গবেষণা চলছে। এই প্রতিটা ভাগের আঁকার টোন আর কালার কম্বিনেশন আলাদা, যদিও যদি কেউ ক্লাউসের এইটবল সিরিজ পড়ে থাকে, তাঁরা কিছুটা সাদৃশ্য পাবেন। সভ মিলিয়ে মোনিকা পড়ে আমার আনন্দ হল না ঠিকই, কিন্তু আমি এমন একটা ঘোরের মধ্যে পড়লাম যে বার দুয়েক বইটা আমাকে আবার পড়ে দেখতে হল। গ্রাফিক নভেল নিয়ে আগ্রহ থাকলে অবশ্যই পড়ে দেখুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন