রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

অক্টোপাস যখন গোয়েন্দা




যে সমস্ত পাঠকরা নিয়মিত পপুলার সাহিত্য নিয়ে নাড়াচাড়া করেন, তাঁরা প্রায় সকলেই এই বইটা পড়ে ফেলেছেন। কিন্তু তবু পোস্ট করলাম, কারণ বাকিদেরও পড়ে ফেলাই ভালো। কেন? এটাও গোয়েন্দা গল্প নাকি? হুঁ, তা বলাই যায়!

তফাত হল, এই গল্পের গোয়েন্দা সোয়েল বে অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকা এক জায়ান্ট অক্টোপাস, যার নাম মার্সিলেস। সেই অ্যাকোয়ারিয়ামেই কাজ করেন টোভা বলে এক মহিলা, যিনি প্রায় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছেন। টোভার অতীত খুব একটা সুখের নয়। স্বামী মারা গিয়েছে ক্যান্সারে, আর একমাত্র ছেলে এরিক যৌবনে পা রাখার আগেই জলে ডুবে মারা গেছিল প্রায় তিরিশ বছর আগে। ছেলেকে হারানোর সেই দুঃখ আজও ভোলেননি তিনি। এই অ্যাকোয়ারিয়াম আর সেখানকার প্রাণীদের নিয়েই থাকেন, যদিও সমুদ্রকূলের এই ছোট্ট শহরের মানুষজন খুবই ভালো, হেল্পফুল, আন্তরিকও বটে। টোভার বন্ধুরা তাঁকে সামলে সামলে রাখেন। কিন্তু, তাঁর বয়স বাড়ছে, শরীরও ভাঙছে স্বাভাবিকভাবেই। টোভা শুধু ভাবেন এরিকের কথা। কী হয়েছিল তার তিরিশ বছর আগের সেই রাতে? কেন তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি? কেউ এর উত্তর দিতে পারে না। কারো জানা নেই। অথবা, আছে? আছে, একজন এই রহস্যের সমাধান করতে পারে! কে সে? না, কোনও মানুষ নয়, টোভার বন্ধু সেই জায়ান্ট অক্টোপাস... মার্সিলেস।

এমন মন ভালো করা বই বহুদিন পড়িনি। এক একটা চরিত্র এমন যত্ন দিয়ে গড়া যে নিজের বাড়ির মানুষ বলে মনে হয়। আর তেমনই উষ্ণতা দেওয়া কাহিনি! বই শেষ হবে, কিন্তু সেই উষ্ণতার রেশ রয়ে যাবে। সবসময় খুনখারাপি আর গম্ভীর সাহিত্য তো পড়ছেন, মাঝেমধ্যে এই হালকা ফিলগুড বইগুলো পড়ে দেখতেই পারেন। আমার বিশ্বাস, ভালো লাগবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন