রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
দিনযাপন (বসন্ত ২০২৪)
মোনিকা
কমিক্সে ফরাসি নুয়া
Jean-Patrick Manchette ফরাসি ক্রাইম থ্রিলার লেখক হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত। তাঁর লেখা দুটো বই 'নো রুম অ্যাট দ্য মর্গ' আর 'নাদা' বহুদিন আগে মডার্ন ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই প্রতিভাবান লেখক মাত্র বাহান্ন বছর বয়সে মারা গিয়েছেন, কিন্তু সেই অল্পসময়ের মধ্যেই মঁসেত এমন একটা নিজস্ব দুনিয়া খাড়া করেছিলেন, শুধু নাম শুনে যার নাগাল পাওয়া মোটেও সম্ভব নয়। কয়েকমাস আগে খানিকটা ভাগ্যক্রমেই তাঁর বই 'থ্রি টু কিল' উপন্যাস নির্ভর একটা গ্রাফিক নভেল আমার হাতে এসে পড়ে, শিল্পী আর কেউ নন, বিডি কমিক্সের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী জ্যাক তার্দি। তার্দির সঙ্গে মঁসেতের সখ্য ছিল, তাঁরা দুজনে মিলে বেশ কিছু কাজ একসঙ্গে করেছিলেন। তার্দি এই বিশেষ বইটা, ফরাসিতে নাম Le Petit bleu de la côte ouest পড়ে সেটা কমিক্সে এনেছিলেন, ইংরেজি অনুবাদে সেটা 'ওয়েস্ট কোস্ট ব্লুজ' হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রাফিক নভেলটা পড়ে আমি যাকে বলে বোকা বনে যাই। তার্দি বলেছেন, মঁসেতের লেখা বা সংলাপ তিনি যতটা সম্ভব না বদলে রেখে দিয়েছেন, সংলাপেও বদল ঘটাননি, যাতে মেজাজটা হারিয়ে না যায়। কিন্তু আমার খুব ভরসা ছিল না, তাই পরে বইটা পড়েও দেখেছি। এরপর আমি পাগলা হয়ে মঁসেত-তার্দি জুটির স্ট্রিটস অফ প্যারিস:স্ট্রিটস অফ মার্ডার দুই ভলিউম পড়ে ফেললাম, কিন্তু ওয়েস্ট কোস্ট ব্লুজ আমার মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। তার্দির আঁকা নিয়ে কিছু বলার যোগ্যতা নেই, কিন্তু মঁসেতের লেখা নিয়ে দু এক কথা বলে কিছুটা আন্দাজ দেওয়া যাক।
কুরকোভিয় ইউক্রেনিয়ান সাহিত্য
আন্দ্রেই কুরকোভ ইউক্রেনের লেখকদের মধ্যে একটা বিশিষ্ট জায়গা করেছেন। ভদ্রলোক প্রলিফিক রাইটার, 'ডেথ অ্যান্ড দ্য পেঙ্গুইন' আর 'গ্রে বিজ' এর মতো ফিকশন লিখে তুমুল সাড়া ফেলেছেন, কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমি তাঁর যে বইটি আগে পড়েছি, ২০১৪ সালের সেই বইটা-- ইউক্রেন ডায়েরিজ-- একটা নন ফিকশন৷ গত বছর ইউক্রেনে যুদ্ধ চলাকালীন তিনি খবরের কাগজে একটা কলামও লিখতেন, সেটা প্রায় সবটাই পড়েছি, সেইটাও মনে হয় 'ডায়েরি অফ অ্যান ইনভেশন' নামে ছাপা হয়েছে। কিন্তু সদ্য যে বইটি পড়ে আমি মুগ্ধ, তার নাম দ্য সিলভার বোন। ২০১৭ সালে কুরকোভের বন্ধু তাঁকে একটা বিশাল ফাইল উপহার দেন। সেটা আর কিছুই নয়, ১৯১৭-১৯২১ সালের মাঝে উইক্রেনের কেস ফাইলের তাড়া, এতদিন কেজিবির আর্কাইভে পচছিল। সে যাই হোক, কুরকোভ দেরি না করে এই সময়ের প্রেক্ষাপটে (মানে ১৯১৯-১৯২৩) দুটো হাফ মিস্ট্রি-হাফ ডিটেকটিভ ফিকশন লিখে ফেলেন, গোয়েন্দার নাম স্যামসন কোলেচকো। তার প্রথমটা 'দ্য সিলভার বোন' নামে বেরিয়েছে, দ্বিতীয়টা 'দ্য হার্ট ইজ নট মিট' নামে এই বছর অনুবাদ হয়ে আসবে। কিন্তু ভুল করবেন না, এই বইগুলো চিরাচরিত গোয়েন্দা বা রহস্য গল্প নয়, এখানে প্রেক্ষাপট আর অ্যাম্বিয়েন্সের গুরুত্ব রহস্যের চেয়ে ঢের বেশি, কিছুটা ব্ল্যাক কমেডিও আছে আর কুরকোভের সারিয়াল ট্রিটমেন্টও মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে যায়।
অক্টোপাস যখন গোয়েন্দা
যে সমস্ত পাঠকরা নিয়মিত পপুলার সাহিত্য নিয়ে নাড়াচাড়া করেন, তাঁরা প্রায় সকলেই এই বইটা পড়ে ফেলেছেন। কিন্তু তবু পোস্ট করলাম, কারণ বাকিদেরও পড়ে ফেলাই ভালো। কেন? এটাও গোয়েন্দা গল্প নাকি? হুঁ, তা বলাই যায়!
আ পারফেক্ট সেমেট্রি: পারফেক্ট আর্জেন্টিয়ান সমকালীন গল্প?
গেস্ট ইন দ্য হাউস : এক মাথাখারাপ করা ভূতের বই
জামাইকাদির ক্যারেবিয়ান সাহিত্য
ট্রাস্ট: এক সাহসী সেরিব্রাল উপন্যাস
মলয়ালম বই বুদ্ধন চিরিক্কুন্নিল্লা।(অস্মিত বুদ্ধ)
প্যাট্রিশিয়া হাইস্মিথের গ্রাফিক জীবন
শেপ অফ ওয়াটার / সিসিলিয়ান গোয়েন্দা
বাবেলভার্স ও কুয়াং ইউনিভার্স
দুটো বই- আ জেন্টলম্যান ইন মস্কো আর দ্য হাউস অফ ভিয়া জেমিতো
২৯ মার্চ সবে গেছে। এমনিতে কিছুই নেই, কিন্তু যদি কেউ এই বইটির বিশেষ ভক্ত হন, তাঁদের একটু মনে করিয়ে দিই, প্যারামাউন্টে ২৯ থেকে টিভি সিরিজটা দেখানো হচ্ছে। 'থ্রি বডি প্রবলেম' নেটফ্লিক্স যেভাবে ধেড়িয়ে একটা জেনেরিক 'ভালো সাইফি' শো করে বসে আছে, আশা করি তেমন হবে না। সিরিজটা আসার আগেই আর একবার বইটা পড়ার ইচ্ছে ছিল। সময় নিয়ে। সে কাজটা কাল শেষ হয়েছে। এমন আভিজাত্যপূর্ণ, গ্রেসফুল, মোলায়েম আর যত্নশীল ভাষা আর ট্রিটমেন্ট এই সময়ের আর ক'টা ইংরেজি ভাষার লেখকের আছে জানি না। সে রুলস অফ সিভিলিটি হোক, লিঙ্কন হাইওয়ে হোক, বা এই বইটা। ফ্রিভোলাস বলে একটা কথা আছে, আর এই বইটা যারা পড়েনি, তারা সেই বদনাম করে থাকে বটে। কিন্তু সাবধান করে দিলাম, 'বিষয়বস্তু কী?' এই কথাটা খবরদার জিজ্ঞেস করবেন না এই বইটা পড়ার আগে; কারণ..