থ্রি বডি প্রবলেম সিরিজের দ্বিতীয় বইয়ে ওয়ালফেসার প্রজেক্ট বলে একটা প্রজেক্টের উল্লেখ আছে। ভিনগ্রহী আক্রমণ ঠেকানোর জন্য মানবজাতি যে স্ট্র্যাটেজি ভাবছে, ট্রাইসোলারিস থেকে পাঠানো সোফোন সে সব আগেই জেনে যাচ্ছে। তাই ঠিক করা হয়, পৃথিবীর কয়েকজন মানুষকে ওয়ালফেসার করা হবে। সবাই তাদের সব কথা শুনবে, যা বলবে তাই করবে, কিন্তু তাদের কোনও জবাব দিতে হবে না। কারণ, ওয়ালফেসাররা দুনিয়া বাঁচানোর জন্য গোপনে কাজ করবেন। এলিয়েন আক্রমণ ঠেকানোর জন্য স্ট্র্যাটেজি ভাববেন, কিন্তু মনে মনে। কী ভাবছেন, কেন ভাবছেন, এসব নিয়ে কোনও জবাবদিহি থাকবে না।
সত্যিই কি একজন ওয়ালফেসার হতে পারে? এমন একজন মানুষ, যাকে আমি চোখ বন্ধ করে ভরসা করব, তার কোনও অভিসন্ধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করব না, তার ওপর বিশ্বাস রেখে নিজের জীবন, পরিচিতদের জীবন, গোটা মনুষ্যজাতি, গোটা জীবজগত, গোটা দুনিয়ার ভবিষ্যৎকে বাজি রাখতে পারব। অন্যদের কথা জানি না, আমার জন্য এমন এক মানুষ আছেন। সত্যি সত্যিই আছেন। তাঁর নাম ডেভিড অ্যাটেনবোরো। আজ তাঁর জন্মদিন। ৯৭ থেকে আজ তিনি ৯৮ তে পা রাখলেন।
১৯৮০ এর দশকের প্রথমদিকের কথা। ব্রিস্টল এর হোয়াইটলেডিজ রোডে বিবিসির অফিস, সেখানে এক অদ্ভুত বিষয় নিয়ে মিটিং চলছিল। এজেন্ডা হল, একজন মানুষ যিনি বিবিসির সঙ্গে প্রায় চার দশক ধরে হিসেবে কাজ করছেন, তিনি পঁয়ষট্টিতে পড়েছেন, তাঁকে আর ফ্রিলান্সার হিসেবেও কাজে রাখা যায় না। কিন্তু মুশকিল হল, তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন, বিবিসির বর্তমান ও প্রাক্তন আধিকারিকরা, 'ট্রায়াল অফ লাইফ' বলে যে শেষ সিরিজটি ভদ্রলোক করছেন তাঁর ক্রিউ মেম্বার, বায়োলজিস্ট আর ন্যাচারিস্টদের টিম, এমনকি জুনিয়ার প্রোডিউসার মাইক গুন্টন কেউই কোনও বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না। ভদ্রলোক যে ধরনের প্রোগ্রাম করে এই ইউনিটটাকে দাঁড় করিয়েছেন, তাতে বিবিসির ভিউয়ারশিপ লক্ষগুণ বেড়েছে। গ্লোবাল হিট শুধু নয়, এই কাজগুলো ন্যাচারার ওয়ার্ল্ড আর ডকুমেন্টারি ডিভিশনে একটা নতুন বিপ্লব এনে দিয়েছে, আরো ভালো করে বলতে হলে বলা যায় এই ভদ্রলোক ওয়াইল্ড লাইফ ফিল্মে একটা নতুন ভাষাই গড়ে তুলেছেন। এমন একটা ভাষা, যা শুনতে পরিচিত মনে হলেও একেবারেই অন্য। এই ভাষাটি আর কেউই বলতে পারে না। মাইক মিনমিন করে কথাটা জানাতেই ইউনিট ডাইরেক্টর দাবড়ে উঠে বললেন, "মেলা ফচফচ করছ কেন? কোন ভাষা বলে ওই বুড়োটা?"
শুনে মাইক থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। তারপর এদিক ওদিক তাকালেন। কী করে বোঝাবেন? এমন সময় পিছন থেকে একটা নতুন ছোকরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল। গুটিগুটি পায়ে সামনে এসে বলল, "অ্যাটেনবোরো স্যার জীবজন্তুর ভাষা জানেন।"
ডাইরেক্টর হা হা করে হাসতে যাচ্ছিলেন, তার আগেই ঘরে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। সবাই ছেলেটাকে সমর্থন করছে। এক বিজ্ঞানী কাম প্রোগ্রাম এক্সপার্ট বললেন, "ঠিকই বলেছে। শুধু তাই নয়, আমরা গাছপালা নিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য লভ্য করাই, স্ট্যাট দিই, কিন্তু ডেভিড মনে হয় গাছের সঙ্গে কথা বলে। আমি নিশ্চিত, ও ছাড়া এই কাজ আর কেউই পারবে না।"
আবারও সমর্থনের গুঞ্জন শোনা গেল। ডাইরেক্টর হাঁ করে রইলেন কিছুক্ষণ, মাইকের দিকে চেয়ে বললেন, "তার মানে ওই বুড়োটা না থাকলে ওয়াইল্ডলাইফ আর নেচার নিয়ে কোনও কাজ করা যাবে না? ও যদি পশুপাখিদের ভাষা জানে, গাছের ভাষা জানে, অন্য কেউই জানবে। না জানলে শিখে নেবে। তাকে খোঁজো!"
মাইক এইবার কিন্তু কিন্তু করে বললেন, "না বস। ডেভিড স্যার পশুপাখি প্রকৃতির ভাষা জানেন, কারণ প্রকৃতি তাঁকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। বিবিসি ফিবিসি নিয়ে তাঁর কিছু আসে যায় না, তাঁর জায়গা অনেক ওপরে। তিনি আমাদের এই গ্রহের, এই প্রকৃতির ধারাভাষ্যকার। নো ওয়ান ক্যান রিপ্লেস স্যার ডেভিড!"
সেদিনের মিটিং এ কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। তার পরের বছরও না। তার পরের বছরও না। পাঁচ বছর পর অ্যালেস্টার ফদারগিল যখন বিবিসি ন্যাচারাল হিস্ট্রি ডিভিজনের ডাইরেক্টর হয়ে এলেন, তখনও এই বিষয়টা উঠল, কিন্তু আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া গেল না। দু একবার ওপর থেকে চাপ এসেছিল স্যার ডেভিডকে সরানোর জন্য বা তাকে পরামর্শদাতা হিসেবে রেখে অন্য কাউকে কাজটার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। ফদারগিল জানিয়ে দিয়েছিলেন, "সেটা খুব সেন্সিবল হবে বলে মনে হয় না। স্যার ডেভিড হ্যাজ অলওয়েজ বিন আ গ্রেট ওকে ট্রি আন্ডার হুইচ ইটস বিন হার্ড ফর আ স্যাপলিং টু গ্রো।" এরপর বছর গড়িয়েছে। কিন্তু স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরোর কোনও বিকল্প পাওয়া যায়নি। মাইককে জিজ্ঞেস করলে উত্তর এসেছে, "আমাদের কাছে উত্তর নেই কে ওঁকে রিপ্লেস করবে? উত্তরটা আমরা জানতেও চাই না!"
ডেভিড অ্যাটেনবোরো এমন একজন মানুষ, যাকে দেখেই মনে হয়, আমাদের পৃথিবীটা কত সুন্দর! এক একটা পোকা, এক একটা মাকড়সা, একটা চুনো মাছ, একটা ঘাসফুল... সব জায়গায় যে প্রকৃতির নিবিড় সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে, যে অমলিন স্নেহ আর মায়ার বাঁধন দিয়ে আমাদের এই গ্রহের পরিবেশতন্ত্র গড়ে উঠেছে, তিনি হাত ধরে না দেখিয়ে দিলে, না চিনিয়ে দিলে, আমরা জানতেও পারতাম না। এমন একজন মানুষ, যিনি বিজ্ঞানী নন, ন্যাচারাল সায়েন্স নিয়ে রিসার্চ করেন না, পশুপাখি বিশেষজ্ঞ নন, অথচ কোথাও না কোথাও তিনি তাঁদের সবাইকেই ছাড়িয়ে গিয়েছেন। হি ইজ আ ড্রিমার, আ স্টোরিটেলার, আ লাভার অফ দিজ ওয়ার্ল্ড। তাঁর চোখ দিয়ে আমরা এই জগতকে চিনেছি, ভালোবেসেছি, তাঁর চোখ দিয়ে স্বপ্ন দেখেছি। আঙুল ধরে তিনি আমাদের আফ্রিকার জঙ্গলে নিয়ে গেছেন, মেরুপ্রদেশে নিয়ে গেছেন, কোস্টারিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে গেছেন। যত্ন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, একটা পোকা আর একটা সিংহ... দুজনেই সুন্দর। একটা নাচানি পাখি আর একটা গুবরে পোকা, তাদের দুজনেরই নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। একটা গোরিলা বা একটা হাঙর, কেউই হিংস্র নয়, কেউই শুধু শুধু অন্যদের আক্রমণ করে না, সবটাই জীবনচক্র। কখনও নিষ্ঠুর, কখনও ভীষণ সুন্দর। লাইফ অফ আ প্ল্যানেট। লাইফ অন আ প্ল্যানেট। দুটোই জীবন। আর জীবন থেমে থাকে না। লাইফ গোজ অন।
ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির প্রেমে পড়েছিলেন ডেভিড। বনবাদাড়ে ঘুরতেন, স্যালামান্ডার নিয়ে এসে পুকুরে রাখতেন, উপুড় হয়ে শুয়ে পোকামাকড়দের জীবন দেখতেন, ব্যাঙের ছাতা আঁকতেন। ফল ফুল পাখি পাতা পোকা মাকড়সা সব কিছুকেই তাঁর ইন্টারেস্টিং মন হত, আহত পাখি বা পশু পেলে বাড়ি নিয়ে আসতেন, চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলতেন। জমিয়ে রাখতেন পাথর, ফসিল ইত্যাদি। এই আটানব্বই বছর বয়সেও তাঁর সংগ্রহের শখ বজায় আছে, গোটা পৃথিবীর ট্রাইবাল আর্ট, ফসিল, ছবি, গান ইত্যাদির সংগ্রহ আছে তাঁর কাছে।
শিক্ষকদের বাড়ি, দু ভাই ছিল, বাবা ছিলেন প্রিন্সিপাল, মা পিয়ানো শিল্পী, সবাই উৎসাহও দিত। ডিনার টেবিলে কথা হত এস্কিমো বা ইনুইটদের নিয়ে, পিগমিদের নিয়ে। সেই বয়সেই ডেভিড অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে, দুজনেই একে অপরের পরিপুরক। এই আগ্রহের বশে তিনি এ নিয়ে আরো পড়াশোনা শুরু করেন, দশ বছর বয়সে 'গ্রে আউল' বলে এক কঞ্জারভেশনিস্টের বক্তৃতা শুনে তাঁর আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।
ন্যাচারাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার সময় টিভির কথা তাঁর মাথাতেও ছিল না, তিনি পেশাগতভাবে বায়ো অ্যান্থ্রপলোজিস্টের কাজই করতেন। তবে পঞ্চাশের গোড়ার দিকে আসতে আসতে তাঁর মনে হয়, পছন্দের অন্য কাজ পেলে করাই যায়। প্রথমে নেচর রিলেটেড ছোটদের বইয়ের সম্পাদনার কাজ, তারপর তার নজর যায় টিভির দিকে। তখন নতুন নতুন টেলিভিশন এর বাজার, টক শো এর জন্য বিবিসি একজন হোস্ট খুঁজছিল। ডেভিড অডিশন দেন এবং...পুরো ফেলটু মারেন। এই ঘটনাটা মনে রেখে দিন। প্রকৃতির ধারাভাষ্যকার হিসেবে যিনি পরিচিত, তিনি বাচিকশিল্পী হিসেবে ফেল মেরেছিলেন! তাহলে সব কিছুই সম্ভব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ভাগ্যিস ম্যারি অ্যাডামস বলে একজন ছিলেন, তিনি ডেভিডের গলায় কিছু একটা দেখেছিলেন। তাঁর কথায় ডেভিড ট্রেনিং এ জয়েন করেন এবং কয়েক বছর পরেই বিবিসির ফুল টাইম এমপ্লয়ী হয়ে যান। কিন্তু তা হলেও ন্যাচারাল ওয়ার্ল্ড নিয়ে কাজকর্ম শুরুই হত না, ব্যাপারটা ঘটে প্রায় কাকতালীয় ভাবেই। ফি সপ্তাহে লন্ডন জু গিয়ে চক্কর মারতেন ডেভিড, চিড়িয়াখানার কিউরেটর জ্যাক লেস্টারের সঙ্গে সখ্যও ছিল। সেখান থেকেই জীবজন্তুর স্বভাব নিয়ে একটা তিন পার্ট শো এর পরিকল্পনা হয়, নাম অ্যানিমাল প্যাটার্ন, সঙ্গে ছিলেন ন্যাচারালিস্ট জুলিয়ান হাক্সলে। স্টুডিও বাউন্ড শো, আউটডোর শুট নেই, বেশি কেউ দেখেওনি। কিন্তু জ্যাক লেস্টার চাইছিলেন চিড়িয়াখানায় জীবজন্তু ধরে আনার জন্য যে এক্সপিডিশন হয় (না পড়ে থাকলে তিন গোয়েন্দা পড়ে নিন) সেই নিয়ে একটা আউটডোর অ্যাডভেঞ্চার সিরিজ করতে। সেই থেকেই 'জু কোয়েস্ট' সিরিজের পরিকল্পনা।
লেস্টার শেষ মুহুর্তে অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর ১৯৫৪ সালে ডেভিড সেই প্রথম টিভি প্রেজেন্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর জনপ্রিয়তা বাড়তে এই ধরনের কাজ আরো হয়, সাতান্ন সালে বিবিসি ব্রিস্টলে ন্যাচারাল হিস্ট্রি ইউনিট খুলে বসেন। বাকিটা ইতিহাস। ডেভিড অ্যাটেনবোরো বিবিসির তরফ থেকে কতরকম শো করেছেন আর কোথায় না গেছেন! আফ্রিকার সাভানা থেকে অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে, আন্টার্কটিকা থেকে সাহারায়, হারিয়ে যাওয়া ট্রাইবের অনুসন্ধান, আর্কিওলজিকাল অভিযান, প্রাচীন সভ্যতা, একের পর এক দুর্দান্ত কাজ সব। আর ওয়াইল্ড লাইফ এর কথা আর কীই বা বলি? তানজানিয়ার হাতিদের জীবনচক্র নিয়ে কাজ করেছেন, গোরিলার আসরে বসে গল্প বলেছেন, জাগুয়ার আর হাঙরকে নিয়ে সিরিজ করেছেন, চেনা অচেনা প্রজাতির বহু পোকমাকড়, পাখি, জীবজগত এর খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন পরম মমতায়। দুনিয়ায় কেউ স্যার ডেভিডের মতো এতটা ব্যাপ্তিতে, এতটা সময় নিয়ে, এতটা এম্প্যাথি নিয়ে ভ্রমণ করেনি, এতটা খুঁটিয়ে কেউ প্রকৃতিকে দেখেনি, তাদের সঙ্গে কথোপকথন চালায়নি! পৃথিবী ও মানবসভ্যতার যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আছে, শিল্প সাহিত্য স্থাপত্য জীবজগত... যা যা মানুষ কল্পনা করতে পারে, স্যার ডেভিড তার প্রায় সবকিছু কভার করে বসে আছেন। তিনি আমাদের প্রজাতির সেরা ট্রাভেলার, ফর অল টাইম।
১৯৭৯ সালে লাইফ সিরিজ শুরু হয়। লাইফ অন আর্থ-এ মানুষ নতুন করে তাদের পরিচিত পৃথিবীর মুখোমুখি হয়,এ যেন এক অন্য জগত, এক নতুন দুনিয়া ক্রমে উন্মোচিত হতে থাকে স্যার ডেভিডের হাত ধরে। বিংশ শতাব্দীর একটা সময়, যখন অ্যান্থ্রপ্পসিন অ্যাক্টিভিটি ক্রমে প্রকৃতিকে ধ্বংস করতে চাইছে, তখনও প্রকৃতির মধ্যে এত রহস্য, এত সৌন্দর্য, এত চমৎকার বিস্ময় লুকিয়ে আছে জানলে বিস্মিত হতে হয়। আঙুল ধরে যে মানুষটা আমাদের এসব চেনাল, তাঁর দায় ছিল না কোনও। পদোন্নতি হতে হতে একসময় বিবিসির ডাইরেক্টর পদে চলে গেছিলেন, কিন্তু ফিল্ডে থাকার তাগিদ তাঁকে সেই পদ প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য করেছিল। গুরু থেকে গিয়েছিলেন, আমাদের চোখ খুলে দেওয়ার জন্য, স্বপ্ন দেখা শেখানোর জন্য। আজও তিনি দেশ দুনিয়া ঘুরছেন, বই লিখছেন, ডকু করছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর তাঁর অগাধ আস্থা।
যদি জীবনে কেবল একজন মানুষ সম্পর্কে জানতে হয়, স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরো সম্পর্কে জানুন, পড়ুন। ছেলেমেয়েকে কী করে জীবনে ভালো মানুষ হয়ে ওঠার কথা বোঝাবেন যদি বুঝতে না পারেন, আমার অনুরোধ, এই মানুষটা সম্পর্কে জানান। তাঁর লেখা বই উপহার দিন, তাঁর প্রোগ্রামগুলো দেখান, সঙ্গে নিজেও দেখুন। আমার বিশ্বাস, তাঁর কথা মন দিয়ে শুনলে আগামী প্রজন্ম এই পৃথিবীটাকে বাঁচিয়ে রাখার সঠিক পথ খুঁজে নেবে, নেবেই।
শুভ জন্মদিন স্যার অ্যাটেনবোরো। দু'শ বছর বাঁচুন, মেরি উমর ভি আপকো লগ জায়ে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন