শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

দ্য বেস্ট অফ বিকিলা

 


বিদেশে দেখি, লোকজন প্রতিদিন ছুটছে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, অর্ধেক শহরই জুতো মোজা পরে ছুটতে নেমেছে। ইউরোপ, আমেরিকা নয়, গরীব দেশগুলোতেও প্রচুর মানুষকে ছোটাছুটি করতে দেখি। একমাত্র, নিজের দেশ ছাড়া। দেড় মাস রইলাম, শরীরচর্চার জন্য দূর, খেলাধুলোর জন্য অব্দি কাউকে ছুটতে দেখলাম না। দু একটা ব্যতিক্রম বাদে কোনও বাচ্চা ছেলে সম্ভবত আর খেলাধুলো করে না। খোলা জায়গা নেই, মাঠ নেই, পার্ক নেই। পাশাপাশি, ইচ্ছেও নেই মনে হয়। আর কিছু না পেয়ে আমি ছাদেই ঘণ্টাখানেক হাঁটাহাঁটি করি, অন্যান্য ছাদে একটা ছেলেমেয়েকেও দেখি না। ছুটির দিনেও না। বিকেলবেলায় অল্পবয়সীরা ছাদে বল পেটাবে না, মাঠে ফুটবল নিয়ে লাফঝাঁপ করবে না, গলি ক্রিকেট খেলবে না, এসব আমার কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু ব্যাপারটা এতটাই নর্মালাইজ হয়ে গেছে যে কারো চোখেই পড়ে না। সেলেব চেহারার বাইরে গ্রাসরুট লেভেলে স্পোর্টস নিয়ে কোনও সচেতনতা নেই, কোনও উন্মাদনাও নেই। লেখালিখি যদি কিছু হয়ও, তার অধিকাংশই দেখি খেলার প্রতি ভালোবাসার নিম্নবিত্ত জীবনের স্ট্রাগল নিয়েই বেশি কথা খরচ করে। ইন্টার স্কুল স্পোর্টসের জন্য বিদেশে যে লেভেলের উত্তেজনা আছে, তার একাংশও এখানে নেই। 
আমি বিজ্ঞ নই, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনে স্পোর্টস নিয়ে এমন উদাসীনতা খুব ভালো নয় বলেই মনে হয়। ক্রিকেট ম্যাচ দেখে ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার চেয়ে ভাইবোন ছেলেমেয়ের সঙ্গে একটু ছাদে গিয়ে ব্যাটবল খেলা বেটার।

এই সূত্রে মনে পড়ে যায়, ছোটবেলায় প্রাথমিক ভাবে স্পোর্টস আইকনদের দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস শুধু নয়, মাউন্টেনিয়ারিং, সাইক্লিং বা লং ডিস্টেন্স রানিং নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ ছিল, নিজে খেলার সুযোগ না পেলেই বা কি! এমনই এক আইকন ছিলেন তালগাছের মতো লম্বা এক মানুষ, রোম অলম্পিকে  যাঁর নাম উচ্চারণ করতেই সাহেবদের অসুবিধা হচ্ছিল। সবাই কানাকানি করছে। অ্যান্ড হোয়াট ইজ দিস ইথিওপিয়ান কল্ড?

ইথিওপিয়ান বাবাজির অবশ্য হেলদোল নেই। তিনি ট্র‍্যাকে চারবার দৌড় মেরে তখন ডাক্টারের তাঁবুতে ম্যান্ডেটারি চেকাপ করাতে গেছে, লম্বা হয়ে শুয়েও তার পা দুখান বিছানার বাইরে ঝুলছিল। এমন সময় তাঁবুতে ঢুকল মরক্কোর জনপ্রিয় ম্যারাথন রানার রাদি বেন। তিনি পরে লিখেছেন, "বিছানায় একটা কালো ছেলে শুয়ে ছিল। তার পা গুলো দেখে আমি হাঁ হয়ে গেলাম। এমন পাথরের মতো শক্ত পায়ের তালু কারো হতে পারে বলে আমার ধারণা ছিল না। আমার খুব ইচ্ছে হল কালো পাথরের মতো সেই পায়ের তালুতে হাত রেখে দেখতে। আমার মনে হল, সেই তালুতে হাত ফেরালে হয়তো কিছুই বুঝতে পারবে না। কিন্তু একটা আঙুল রাখা মাত্র সে ধড়মড় করে উঠে বসে আমাকে দেখতে লাগল। তখনও আমি জানি না, এই ছেলেটা আমার সঙ্গে ম্যারাথনে দৌড়বে, খালি পায়ে দৌড়াবে, এবং জিতবে।

এই মানুষটির নাম আবেবে বিকিলা। প্রায় একশো বছর আগে যখন ইথিওপিয়ার নামই কেউ শোনেনি আর কয়েক বছর আগেই যে দেশের নাম শুনে অনেকে ঢোল গিলত, সেই দেশে ১৯৩২ সালে জন্মেছিল বিকিলা। পাহাড়ি এক গ্রামে জন্ম, মা দু'বার বিয়ে করেছিলেন। ছাগল চরানো বাদ দিয়েও পানীয় জল আর খাবারের জন্য বহুদূর যেতে হত। তারপর অল্পবয়সেই ইথিওপিয়ান ওয়ারের সময় একাধিক বার বাসা বদলাতে বাধ্য করা হয়েছিল তাদের। জংলি সবজি আর মোটা রুটি খেয়েই শৈশব কেটেছে, ছোটখাটো দরকারের জন্যই দশ বারো বছরের বিকিলা কুড়ি কিলোমিটার ছুটে সালুতার পার্বত্য অঞ্চল থেকে আদিস আবাবা চলে যেত, ফিরেও আসত। কখনও কখনও একদিনে দু বার বা তিনবার। এছাড়া আরেকটা জিনিসে আগ্রহ ছিল তার। 'জেনা' খেলা। জেনা আসলে এক ধরনের লং ডিস্ট্যান্স হকিই বলা চলে, কিন্তু গোলপোস্টগুলো থাকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। ইথিওপিয়ায় এই খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। যাই হোক, উনিশ বছর বয়সে উপার্জন করবে বলে বিকিলা শহরে চলে আসে, কাজ পেয়ে যায় ইমপেরিয়াল গার্ডের ফিফথ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে। এখানেই তার দেখা হয় ওন্নি নিসকানেনের সঙ্গে। 

ওন্নি সুইডিশ মূলের মানুষ, তাঁকে আনা হয়েছিল ইম্পেরিয়াল গার্ডদের ট্রেনিং করানোর জন্য। তিনি প্রথম থেকেই সকলের খেলাধুলোর ওপর জোর দিলেন। দেখা গেল, বিকিলা ফুটবল, বাস্কেটবল যাই খেলে না কেন, অন্যদের ছাপিয়ে যায়। অনেকে তাকে উচ্চতার জন্য বাস্কেটবল টিমে নেওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু ওন্নি তীক্ষ্ণ নজরে লক্ষ করেছিলেন এই যুবককে। তিনি খেয়াল করলেন, বিকিলার মধ্যে ছোটার সহজাত প্রতিভা আছে। তিনি একটু একটু করে পেশাদার দৌড়ের নিয়মকানুন শিখিয়ে বিকিলাকে ট্রেনিং দিতে শুরু করলেন। ইতিমধ্যে ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলোম্পিক চলে এল, ওন্নির প্রচেষ্টায় এই প্রথম ইথিওপিয়া থেকে একটা দল পাঠানো হল সেখানে, কিন্তু খুব আশাব্যঞ্জক ফল ফল না। ওন্নি নিসকানেন হতাশ হলেন না। তিনি ১৯৫৮ সালে বিকিলা সহ দুজন আরো অ্যাথেলিটকে নিয়ে সুইডেনে চলে গেলেন প্রশিক্ষণের জন্য। উদ্দেশ্য, ১৯৬০ সালের রোম অলোম্পিক!

ট্রায়াল শুরু হওয়ার পর দেখা গেল, বিকিলার জায়গা পাওয়া নিয়ে চিন্তা পাওয়ার কিছুই নেই। পঞ্চাশজনের মধ্যে অনেকেই তার সমকক্ষ অব্দি নয়। ততদিনে বিকিলা একের পর এক রেকর্ড করছে, আদিস আবাবাতে দুবার ম্যারাথন জিতেছে, এমিল জাতোপেকের অলোম্পিক রেকর্ড ভেঙেছে,
যদিও তার কোনও তাপ উত্তাপ নেই। ম্যারাথনের ক্লাসিকাল স্কুল বলে যে ৪২ কিলোমিটার দৌড়তে হলে ৩০ কিলোমিটার স্টেমিনার পরীক্ষা দিতে হয়, শেষ ১২ কিলোমিটার অ্যাথেলিটারের সহ্যশক্তির অগ্নিপরীক্ষা হয়। বিকিলা পাহাড়ি অঞ্চলে ছুটোছুটি করে বড় হয়েছেন, অত উচ্চতায় এক কিলোমিটার মানে সমতলে তিন কিলোমিটার ধরা যায়। স্টেমিনা নিয়ে তার চিন্তা নেই, সে ৪২ কিলোমিটার একইভাবে দৌড়তে পারে। ট্রায়ালের পর ইথিওপিয়া থেকে দুজনকে নির্বাচন করা হল। বিকিলা বাদেও আবেবে বিকজিরা রোম যাবেন। ভালো জামাকাপড় পরে দুজনকে রাজার কাছে নিয়ে যাওয়া হল। রাজামশাই হাঁ হয়ে বললেন, "এই দুবলা ছেলেগুলো ছুটবে ক্যামনে?"

রোমে গিয়ে বিকিলার জন্য জুতো কেনা হল। এই প্রথম। কিন্তু নতুন জুতো পরে পায়ে ফোসকা পরে গেল তার। বার বার ট্রায়াল করার টাকা নেই, সময়ও নেই। রেসের দিন চলে আসছে। বিকিলা আর আবেবে দুজনেই ঠিক করলেন, খালি পায়ে ছুটবেন। ফাইনাল রেসের দিন তাদের খালি পায়ে দেখে যথারীতি লোকজন হাসাহাসি করল। রোমে সেদিন ভীষণ গরম পড়ছে, রোদে পা পুড়ে যায় প্রায়, এর মধ্যে খালি পায়ে কে দৌড়ায়? কিন্তু যে খালি পায়ে পাথুরে রাস্তায় চল্লিশ কিলোমিটার চড়াই উতরাই ছুটে অভ্যস্ত, তার আর এসবে কী আসে যায়?

১০ই সেপ্টেম্বর বিকেলবেলা পিয়াতজা দেল কাম্পিদোগলিও থেকে রেস শুরু হল। এই রেসের ভিডিও ইউটিউবে দেখা যায়। রাশিয়ার সার্গেই পোপোভ আগের বার রেকর্ড করেছেন, সবাই জানে তিনিই জিতবেন। পোপোভ নিজেও বন্ধুর সঙ্গে হাসিঠাট্টা করছেন। রাদি বেনকে নিয়েও অনেকে আশাবাদী। খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিকিলার চিন্তাগ্রস্ত মুখ দেখে কমেন্টেটএ বলছেন, "এই ইথিওপিয়ান ছেলেটার নামটা কী করে উচ্চারণ করে?"

রেস শুরু হল। বিকিলা কোথাও নেই। ম্যারাথন হচ্ছে রোমের প্রধান রাস্তায়, প্রধান ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে পাশে রেখে সবাই ছুটছে। ইথিওপিয়ার দুজন কালো ছেলেকে নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু পনেরো কিলোমিটার পর দেখা গেল, খালি পায়ে দৌড়ানো সেই কালো ছেলেটা চারজনের মধ্যে চলে এসেছে।

পঁচিশ কিলোমিটার হতে হতে মূল কম্পিটিশনটা দাঁড়াল বিকিলা আর রাদি বেনের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত এরাই কম্পিট করে যাবে। বত্রিশ কিলোমিটার শেষ হতে হতে দেখা গেল রাত নেমে এসেছে, রোমের পথে আলো জ্বলে উঠেছে৷ চল্লিশ কিলোমিটার আসতে আসতে তারা একটা ঐতিহ্যশালী ওবেলিস্ক অতিক্রম করল। কাকতালীয় ভাবে পঁচিশ বছর আগে ইতালির মুসোলিনির সৈনিকরা এই ওবেলিস্কটা লুট করে এনেছিল বিকিলার দেশ মানে ইথিওপিয়া থেকেই। এখন দুই প্রধান অ্যাথেলিটের মধ্যে মাত্র পাঁচ মিটারের তফাত। শেষ পর্যায়ে এসে বিকিলা গিয়ার চেঞ্জ করে গতি বাড়িয়ে দিল। ফিনিশিং লাইনের দড়ি ছোঁড়ার আগে হাতটা তুলল, কিন্তু কোনোরকম আনন্দ প্রকাশ করল না। পুরো রাস্তাটা সে খালি পায়ে দৌড়ে এসেছে। কমেন্টেটররা হতবাক, দর্শক বাকরুদ্ধ। সবাই কম্বল, গরম জল নিয়ে ছুটে এল বিকিলার দিকে, কিন্তু বিকিলা তাদের থামিয়ে দিল। তারপর অনুত্তেজিত ভাবে জগিং করে বেড়াতে লাগল। সবাই থ। বাস্তবিক অর্থেই এ বিকিলার জয় নয়, ইথিওপিয়ার জয়, আফ্রিকার জয়।

পরবর্তী চার বছরের মধ্যে আবেবে বিকিলা আফ্রিকার স্বাধীনতা আর আত্মসম্মানের প্রতীক হয়ে উঠল। তার খালি পায়ের ছবি তাকে জনপ্রিয় করে তুলল, পাশাপাশি লং ডিস্টেন্স রানিংয়ের দুনিয়ায় তারকা হয়ে উঠতেও কেউ আটকাতে পারল না। একের পর এক ছোটবড় জয়, একের পর এক সম্মান। ১৯৬৪ সালে টোকিও অলোম্পিকের আগে যখন সবাই ভাবছে তার জয় নিশ্চিত, এমন সময় শরীর খারাপ হয়ে গেল বিকিলার। জানা গেল, অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করতে হবে। অলোম্পিক শুরু হওয়ার তখন পনেরো দিন বাকি। সবাই হায় হায় করে উঠল। বিকিলা কিছু বললেন না। কয়েকদিন পর দেখা গেল, ম্যারাথনে বিকিলা সবচেয়ে সামনে ছুটছে৷ কেউ তার কাছ থেকে গোল্ড মেডেল ছিনিয়ে নিতে পারল না। রোমের মতো এখানেও সে রেকর্ড বানিয়ে রেস শেষ করল।

আবেবে বিকিলার কাহিনি যদি এখানেই শেষ হত, তাহলেও বা হত! কিন্তু সত্যিকারের স্পোর্টসম্যানদের আসল পরিচয় পাওয়া যায় জীবনেও। স্টেমিনার যেখানে শেষ হয়, সেখানে শুরু হয় সহ্যশক্তি আর জেদের লড়াই। দাঁত চিপে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই।

চার বছর ধরে আবার সারা দুনিয়ায় গাদা গাদা ম্যারাথন জয় করে বিকিলা মেক্সিকো অলোম্পিকের জন্য তৈরি হল। কিন্তু রেসের ঠিক আগে গতবারের মতো এবারেও তার শরীর খারাপ হয়ে পড়ল, দেখা গেল পায়েই ফ্র‍্যাকচার। জয়ী হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, কিন্তু বিকিলা নাম তুলল না, যতদূর পারে দৌড়ল। এরপর আস্তে আস্ত্ব তার রানিং কেরিয়ার শেষ হয়ে গেল, কিন্তু খেলাধুলোর দুনিয়াত বিকিলা তখন আইকন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার সঙ্গ কোনওদিন ছাড়েনি।

১৯৬৯ সালে একটা কার অ্যাক্সিডেন্টে বিকিলার গোটা শরীর প্যারালাইজ হয়ে গেল। আট মাস হসপিটাল থাকার পর সে শুধু ঘাড় নাড়াতে পারছে, আরো কয়েক মাস পর সে হাত দুটোয় জোর পেল। কিন্তু পায়ে উঠে দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা আর নেই। সবাই ভাবল, এইবার বিকিলা ভেঙে পড়বে। কিন্তু আবেবে বিকিলা অন্য ধাতুতে গড়া মানুষ। সে মন খারাপ করল না, কাউকে কিচ্ছু বলল না, বরং হ্যান্ডিক্যাপডদের জন্য আয়োজিত টেবল টেনিস আর আর্চারির জন্য প্রিপারেশন শুরু করে দিল। লন্ডনে আয়োজিত স্টক ম্যান্ডেভিল গেমসে তুখোড় পারফর্ম্যান্সের পর পরের বছর তাকে নরওয়ে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হল, সেখানে সে স্বেচ্ছায় অন্য প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য টিটি আর আর্চারিতে অংশগ্রহণ করল, ক্রস কান্ট্রি স্লেজ রেসে রেকর্ড করে পদক জিতে নিল। বাহাত্তর সালে মিউনিক অলোম্পিকে তাকে অতিথি হিসেবে ডাকা হল যখন, সবাই তার নাম ধরে চিৎকার করছে। কেউ আর বলছে না, এই ইথিওপিয়ান ছেলেটার নামটা কী করে বলে?

অ্যাক্সিডেন্টের চার বছরের মধ্যেই সেরিব্রাল হেমারেজ হয়ে বিকিলা মারা যায়। দুর্ঘটনার পর তার শারীরিক জটিলতা কোনোদিনই কাটেনি, তার মৃত্যু যে হতে পারে, সে সম্পর্কেও ডাক্টাররা আভাস দিয়েই রেখেছিলেন। কিন্তু বিকিলা সেসব নিয়ে চিন্তা করেনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে গেছে।

একজন স্পোর্টসম্যান সব কিছু পারে। খেলাধুলো মানুষকে অনেক কিছু দেয়। জীবনে কোনোদিন মন ভেঙে গেলে আফ্রিকার অ্যাথেলিটদের সম্পর্কে পড়তে শুরু করুন, তারপর বিকেলে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মাঠে যান। ছুটুন, হাঁটুন, না হলে বাচ্চাদের ছুটতে দিন। পড়তে দিন, উঠে দাঁড়াতে দিন, আবার ছুটতে দিন। কে বলতে পারে, তাদের মধ্যে একজন আবেবে বিকিলা লুকিয়ে নেই?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন