রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬

বালিশের একপ্রান্ত ছিঁড়ে তুলো বেরিয়ে এসেছে।মেহগনি কাঠের চেয়ারটেবিল গুলো ধুলোয় জর্জরিত।প্যালাস্তারা খসে পড়েছে চারিদিকে।দরজার বাইরে লাগানো কলিং বেল টা বোবা,কোনো ওষুধই তাকে ঠিক করে তুলতে পারবে না।আগেকার সাজানো ঝাড়লন্ঠন গুলো এখনো আছে ক্ষতবিক্ষত ভাবে,জানলার ভাঙ্গা কপাট দিয়ে হাওয়া এসে দুলিয়ে দেয় মাঝে মাঝে তাদের।ওয়ালক্লক এর কাঁটাগুলো নুয়ে পড়েছে,যেন জিগ্গেস করছে অবশিষ্ট সময় তার জীবনের।এই ঘরে কোনদিন সুরের চর্চা হত।রোমান্টিক ইরার কম্পোসারদের নিয়ে চলত মাতামাতি।বাক থেকে শুরু করে বেঠোফেন অব্দি কেউই বাদ যায়নি।রোমান্টিক সুরের স্বপ্নের ওপর কাঠামো করে ভবিষ্যতের সিঁড়ি তৈরী করার ইচ্ছে ছিল তার।কিন্তু সেই সিঁড়ি কোনদিনই তৈরী হয়নি।হয়ত গোড়াতেই গলদ ছিল।রোমান্টিসিস্ম এর খোয়াব,খোয়াবই রয়ে গেছে।
কিন্তু আজও বিরাজ করে ঘরের ঠিক মাঝামাঝি রাখা একটা পিয়ানো।তার সামনে রাখা রকচেয়ারে বসে থাকা একই ব্যক্তি।তার হাতে একটানা বেজে চলেছে পিয়ানোর কীবোর্ড।ব্যক্তির মুখে জলন্ত পাইপ,পরনে  আদ্যিকালের একটা  ডিনার স্যুট। চোয়াল ঝুলে পড়েছে,চামড়া আলগা হয়ে এসেছে।পাগলের মত অবিরত বাজিয়ে চলেছে সে।একসময় সে পিয়ানোর ওপরে মুখ থুবড়ে পড়ল।পাইপটা পড়ে গেল মেঝেতে।ব্যক্তিটি মারা গেছে। 

টেক আ বো,মিস্টার স্ট্রেঞ্জর।ইউ হ্যাভ ক্রিয়েটেড ওয়ান।মৃত্যুর চেয়ে রোমান্টিক আর কি বা আছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন