একসময় আলো জ্বলে উঠলো।বেজে উঠলো গান।কিন্তু ইজিচেয়ার শুন্য রয়ে গেল চিরকালের মত।

ছায়াপথ একাই বেঁচে
থাকে কখনো কোনও কথা না বলে, হয়তো তার সঙ্গে দেখা হয়ে যেত কোনওদিন
গ্রহান্তরের পথিকের, কিন্তু সে যে আজ নিরুদ্দেশ জীবনচক্রের
গোলকধাঁধায়। করুণ তার কাহিনি, কথার
ওপর সাজানো কথা দিয়ে জীবন চলে। যেন
ভেঙ্গে পড়া কয়েকটি আয়নার স্বীকোরক্তি। সে নিজের চেহারা আর
দেখে না ভুলেও, পুরনো রেকর্ড করা গলার স্বর
চাপা রয়ে গেছে গতানুগতিকতার হর্নে। শুধু
মাঝে মাঝে যখন বৃষ্টি হয়, সে
ছাতা না খুলেই রাস্তা দিয়ে হাঁটে। ভিজতে
থাকে। ভিজতে ভিজতে ধুয়ে যায় তার
স্বরূপ, কয়েক মুহুর্তের জন্যে। উদাস
চোখে তাকিয়ে সে তখন কথার কিনারা খোঁজে। আকস্মিকতার
খোলচে পরা অতীতের রং চোখের সামনে উঁকি মারে। সেই রঙ উধাও, ইন্দ্রধনুষ দেখা দেয় আজ সাদায় কালোয়। কথা বাড়ালেই কথা বাড়ে। মনকে বোঝায় এই বলে যে, সে একলাই ছিল, ছায়াপথেরই মতো। বৃষ্টি তখন থেমেছে। পথিকের হাতে ধরা ছাতার বাঁট দিয়ে চুঁইয়ে পড়ে অভিমান।