একসময় আলো জ্বলে উঠলো।বেজে উঠলো গান।কিন্তু ইজিচেয়ার শুন্য রয়ে গেল চিরকালের মত।
শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬
একসময় আলো জ্বলে উঠলো।বেজে উঠলো গান।কিন্তু ইজিচেয়ার শুন্য রয়ে গেল চিরকালের মত।
সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬
ছায়াপথ একাই বেঁচে থাকে
ছায়াপথ একাই বেঁচে
থাকে কখনো কোনও কথা না বলে, হয়তো তার সঙ্গে দেখা হয়ে যেত কোনওদিন
গ্রহান্তরের পথিকের, কিন্তু সে যে আজ নিরুদ্দেশ জীবনচক্রের
গোলকধাঁধায়। করুণ তার কাহিনি, কথার
ওপর সাজানো কথা দিয়ে জীবন চলে। যেন
ভেঙ্গে পড়া কয়েকটি আয়নার স্বীকোরক্তি। সে নিজের চেহারা আর
দেখে না ভুলেও, পুরনো রেকর্ড করা গলার স্বর
চাপা রয়ে গেছে গতানুগতিকতার হর্নে। শুধু
মাঝে মাঝে যখন বৃষ্টি হয়, সে
ছাতা না খুলেই রাস্তা দিয়ে হাঁটে। ভিজতে
থাকে। ভিজতে ভিজতে ধুয়ে যায় তার
স্বরূপ, কয়েক মুহুর্তের জন্যে। উদাস
চোখে তাকিয়ে সে তখন কথার কিনারা খোঁজে। আকস্মিকতার
খোলচে পরা অতীতের রং চোখের সামনে উঁকি মারে। সেই রঙ উধাও, ইন্দ্রধনুষ দেখা দেয় আজ সাদায় কালোয়। কথা বাড়ালেই কথা বাড়ে। মনকে বোঝায় এই বলে যে, সে একলাই ছিল, ছায়াপথেরই মতো। বৃষ্টি তখন থেমেছে। পথিকের হাতে ধরা ছাতার বাঁট দিয়ে চুঁইয়ে পড়ে অভিমান।
সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬
কল্পনাকলের মেশিন থেকে বেরিয়ে এসে চশমা খুলে চোখ মুছলাম।সার্কিট গুলো বদলাতে হবে।সবুজের ছোঁয়া চোখে লেগে আছে বলেই হয়ত...অভ্যেস ছেড়ে গেছে আজ ৫০০ বছর।ছেলেবেলার নেশা ,সবুজ দেখার।তখন আমি মানুষ ছিলাম।
রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬
কিন্তু আজও বিরাজ করে ঘরের ঠিক মাঝামাঝি রাখা একটা পিয়ানো।তার সামনে রাখা রকচেয়ারে বসে থাকা একই ব্যক্তি।তার হাতে একটানা বেজে চলেছে পিয়ানোর কীবোর্ড।ব্যক্তির মুখে জলন্ত পাইপ,পরনে আদ্যিকালের একটা ডিনার স্যুট। চোয়াল ঝুলে পড়েছে,চামড়া আলগা হয়ে এসেছে।পাগলের মত অবিরত বাজিয়ে চলেছে সে।একসময় সে পিয়ানোর ওপরে মুখ থুবড়ে পড়ল।পাইপটা পড়ে গেল মেঝেতে।ব্যক্তিটি মারা গেছে।
টেক আ বো,মিস্টার স্ট্রেঞ্জর।ইউ হ্যাভ ক্রিয়েটেড ওয়ান।মৃত্যুর চেয়ে রোমান্টিক আর কি বা আছে?
আজ এসেছে সেই দিন।অবশেষে।রাতের তৃতীয় প্রহর।আমার চোখে ভিজে থাকা কৌতুহল,আর বেদনার সারি।অপেক্ষা শেষ হয়েছে,কিন্তু আকাঙ্ক্ষা কি এখনো একই আছে?সময়ের কাঁটায় জীবনের শাখাপ্রশাখা প্রসারিত হয় অজানার দিকে|ধীরে ধীরে সেই অপরিচিত কুলই হয়ে ওঠে আপন।কিন্তু মায়ার বন্ধন নিয়তিকে বাঁধতে পারে না।বাগানে এসে দাঁড়িয়েছি।আস্তে-আস্তে সে আবির্ভূত হলো,প্রথমে হাত পা প্রসারিত করে সহজ করলো নিজেকে,তারপর করুণ দৃষ্টিতে তাকালো আমার দিকে ভোররাতের প্রথম অপরাজিতা,শেষ করে ১২ বছরের দীর্ঘমেয়াদী নির্বাসন।বিদায় ...ডান হাত এগিয়ে নিয়ে গিয়ে এক ঝটকায় আমি তার ডাঁটি ধরে মারলাম টান,প্রাণপণে।
.....চোখ খুললাম।আমি ফিরে এসেছি।গায়ের নীলের ওপর সাদাটান গুলো একই ভাবে উজ্জ্বল।ওপরের দিকে চোখ তুললাম।সে তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে।চোখ বেয়ে নেমেছে জলের রেখা।আর কোনদিন তুমি ফুল ছিঁড়বে না।আমরা আজ থেকে বন্ধু হলাম.....