বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

চোখের তারাদের প্রতিটা দিন কাটে একভাবে।একঘেয়ে দৃশ্যের ঘেরাজালে।প্লেটে রাখা টোস্ট আর টেবিলে সাজানো কম্পিউটার।রাস্তার কোলাহল আর ইউটুবের ভিডিও।ছুটির জন্যে পাঠানো দরখাস্ত মঞ্জুর করে না ওপরওয়ালা।তার কোনো ছুটি নেই,নেই কোনো মুখবদলের উপহার।কখনো কখনো সে রেগে মেগে নাকের বদলে নরুণ আর বাস্তবের বদলে কল্পনার ছবি পাঠিয়ে দেয় ব্রেন এর দপ্তরে বসে থাকা নিউরনদের কাছে।কিন্তু সে ছবি অবশেষে চলে যায় জোড়াতালির কারখানায় রাখা পুরনো স্বপ্নঘরের চিলেকোঠায়।স্বপ্নের নিউরন দের নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না,বড় আলসে তারা।বাস্তবের কোনো ছবি তাদের ডাটাবেস সাপোর্ট করে না।কিন্তু পুরনো কর্মচারী বলে পার পেয়ে যায় প্রত্যেকবার।পলকের চেয়ারে বসে থেকে তারাদের অপেক্ষা চলতে থাকে অন্যান্য ইন্দ্রিযদের অগোচরে।অবশেষে একদিন স্বপ্নঘরের ডাক পায় সে,ছুটি পাওয়া যায়নি কিন্তু ট্রান্সফার হয়ে গেছে স্ব্প্নজগত ডিপার্টমেন্ট এ।অপ্রত্যক্ষ ছবির প্রোগ্রামিং করতে হবে,কিন্তু কোনো রকম স্ট্রাকচার অথবা ফ্লোচার্ট ফলো করা চলবে না।আনন্দে আত্মহারা হয়ে সামনের দিকে তাকায় তারা।জ্বলজ্বল করে ওঠা নীল চোখের পলক বন্ধ থাকে সামনে।ঠোঁটের ভিজে আবরণ তখন অন্য ঠোঁটের আড়ালে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন