শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১

ফ্লোরেন্স সামার্স

 গরমকালে ফ্লোরেন্সে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে সাবধান করে দিলাম, পকেটে লেবু-পেঁয়াজ আর বোতলে ঘোলের শরবত নিয়ে ঘুরবেন। নর্থ কলকাতার গরম হার মেনে যায়, এইসা রোদ্দুর। দু' পা হেঁটেই নোরা ফাতেহী স্টাইলে বলতে ইচ্ছে হয়, "হায় গর্মী!"


মনে হয় রোদের হাত থেকে রক্ষা পেতেই এখানকার শিল্পীরা রেনেসাঁ যুগের ভালো ভালো সব পেইন্টিং এঁকেছিল ঘরে বসে বসে। যারা বাইরে ছিল তারা জেলাতো আইসক্রীম খেয়ে নদীতে হুটোপুটি করত বোধহয়।

আজকেও অবস্থা প্রায় এক। এমনিতেও ইতালিয়ানরা মহাকুঁড়ে, সব তালগোল পাকিয়ে রাখে। বাসস্টপে বাস আসে না, টোবাকো শপ থেকে বাসের টিকিট কাটতে হয়, দরজায় কলিং বেল নেই, ওল্ড টাউন ছাড়া বাকি শহরটা একেবারে সাদামাঠা। টুরিস্টদের অবশ্য ওতে কিছু আসে যায় না। গুচ্ছের জেলাতো শপ, আইসক্রীম খাচ্ছে আর লোটাকম্বল বেঁধে গ্রাম কে গ্রাম লোক সান্দ্রো বতিচেল্লির 'বার্থ অফ ভিনাস' দেখতে উফিজি গ্যালারিতে ছুটছে।

কিন্তু, এই সমস্ত কিছুই বদলে যায় সুর্যাস্তের সময়। কোনো অদৃশ্য জাদুঘর ম্যাজিক ওয়ান্ড ঘুরিয়ে শহরটাকে পিছিয়ে নিয়ে যায় পাঁচশো বছর। নরম আলোয় আভাসিত হয় চরাচর, কানে ভেসে ওঠে চেলোর সুর, জোয়ানেস মার্টিনির ব্যারিটোন সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা ছড়িয়ে পড়ে ওল্ড টাউনে। সেরকম একটা মুহূর্ত তুলে ধরার অক্ষম চেষ্টা করলাম এই ছবিটা দিয়ে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন